প্রশ্নোত্তর

জেনে নিন পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।

  জীবনকে সহজ আর গতিময় করতে নকে সহজ আর গতিময় করতে নানা রকম প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য। এসব পণ্য থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা।

কমে যাচ্ছে শুক্রানুর মানও। তাই সন্তানের আশায় অনেক দম্পতিই বছরের পর বছর ডাক্তারের কাছে দৌড়াচ্ছেন। অথচ দৈনন্দিন খাবার তালিকায় কিছু সংযোজনই পারে পুরুষদের শুক্রানুর পরিমাণ এবং গুণগত মান বাড়াতে।

ইতালির তুরিন শহরের এক হাসপাতালে জরিপ চালিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দৈনিক মাত্র সাতটি কাঠবাদামে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার উন্নতি সাধন করবে বহুলাংশে! শুধু কাঠবাদামই নয়, যে কোন ধরণের বাদামই শুক্রানুর গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করে বলে ওই জরিপে উঠে এসেছে।

জরিপে অংশগ্রহণ কারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। এরপর একদলের দৈনিক খাদ্য তালিকায় সাতটি বাদাম যুক্ত করা হয় এবং অপর দলকে বেশি করে সামুদ্রিক মাছ এবং শস্য জাতীয় খাদ্য দেয়া হয়।

দ্বিতীয় দলের খাদ্য তালিকা থেকে প্রক্রিয়াকরণ মাংস ও অন্যান্য খাদ্য বাদ দেয়া হয়। তবে প্রথম দলের স্বাভাবিক খাদ্য তালিকা বজায় থাকে। নির্দিষ্ট সময় পরে দেখা যায়, উভয় দলেরই প্রজনন ক্ষমতা বেড়েছে এবং শারীরিক প্রদাহ কমেছে।

এছাড়াও টমেটোর রয়েছে এব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা। গাঢ় লাল রঙের টমেটো পুরুষের দেহে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বাড়ায়। টমেটো খেলে পুরুষের শুক্রানুর পরিমাণ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে বলে সম্প্রতি ব্রিটেনের ইনফার্টিলিটি নেটওয়ার্কের করা এক গবেষণায় এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণাটি ব্রিটেনের প্রতি ছয়জনের একজন নিঃসন্তান দম্পতির মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। আশা করা হচ্ছে এতে করে তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা বাড়বে। ইনফাটিলিটি নেটওয়ার্কের মুখপাত্র কারেন ভেনেসেস বলেন, এই গবেষণা প্রতিবেদনে আমরা সত্যিই আশাবাদী।

 রকম প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পণ্য। এসব পণ্য থেকে বিচ্ছুরিত নানা রকম রেডিয়েশন, কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলে কমে যাচ্ছে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা।

  শায়খ মুহাম্মাদ বিন ছালেহ আল-উছাইমীন (রঃ)

প্রশ্ন: রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি কবুলযোগ্য দু’আর সুযোগ রয়েছে। এ দু’আটি কখন করতে হবে: ইফতারের আগে; নাকি ইফতারের মাঝে; নাকি ইফতারের পরে? এ সময়ে পড়া যায় এমন কোন দুআ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়ে থাকে সেটা যদি উল্লেখ করতেন।

উত্তর :

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

এ প্রশ্নটি শাইখ উছাইমীন (রহঃ) এর কাছে উত্থাপন করা হলে তিনি বলেন:

ইফতারের পূর্বে সূর্যাস্তের সময় এ দু’আটি করা যেতে পারে। কারণ এ সময় মানুষের অন্তর বিগলিত হওয়ার সাথে মানুষ নত হয়; উপরন্তু সে তো রোজাদার। এ অবস্থাগুলো দু’আ কবুলের উপকরণ। আর ইফতার করার পরে তো আত্মা প্রশান্ত হয়, মন খুশি হয়; তাই এ সময়ে গাফলতি পেয়ে বসা স্বাভাবিক। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ইফতারের পরে উচ্চারণ করার জন্য একটি দু’আ বর্ণিত হয়েছে যদি সে হাদিসটি সহিহ সাব্যস্ত হয়। সে দু’আটি হচ্ছে-

“ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ”

অর্থ- “তৃষ্ণা দূর হয়েছে; শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং প্রতিদান সাব্যস্ত হয়েছে; ইনশাআল্লাহ”।[সুনানে আবু দাউদ, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থ (২০৬৬) ‘হাসান’ বলেছেন] এ দু’আটি অবশ্যই ইফতারের পরে পাঠযোগ্য। অনুরূপভাবে কোন কোন সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে,

اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت

অর্থ- “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিযিক দিয়ে ইফতার করছি।”

অতএব, আপনি যে দু’আকে উপযুক্ত মনে করেন সেটা পাঠ করতে পারেন।

আল্লাহই ভাল জানেন।

প্রশ্ন: আমাদের কিছু মুসলিম ভাই সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত রমজান মাসের আগমন সম্পর্কে জানতে পারেননি। জানার পর থেকে তারা রোজা থেকেছেন। এই রোজা কি তাদের জন্য যথেষ্ট হবে, নাকি তাদেরকে এর বদলে কাযা রোজা রাখতে হবে?

উত্তর:

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

সংবাদপ্রাপ্তির পর থেকে দিনের বাকি অংশ রোজা-ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ থেকে বিরত থেকে তাঁরা সঠিক কাজটি করেছেন। তবে সেই দিনের বদলে তাদেরকে আরেকটি রোযা কাযা করতে হবে। [গবেষণা ও ফাত্‌ওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র (১০/২৪৫)]

 সেই দিনের পরিবর্তে আরেকটি রোজা কাযা করা ওয়াজিব হওয়ার কারণ হল, তারা রাত থেকে রোজার নিয়্যত করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

” من لم يُجمع الصيام قبل الفجر فلا صيام له “

“যে ব্যক্তি ফজরের পূর্ব হতে রোজার (ফরজ রোজা) নিয়্যত বাঁধেনি তার রোজা হবে না।” [মুসনাদে আহমাদ (৬/২৮৭), সুনানে আবু দাউদ (২৪৫৪), জামে তিরমিযি (৭৩০), সুনানে নাসাঈ (২৩৩১), আল-আলবানী ‘সহীহ আবু দাউদ’ (২১৪৩) গ্রন্থে হাদিসটিকে সহীহ আখ্যায়িত করেছেন]

sourc. islamqa

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button