প্রবন্ধ

হজ্জের জন্য বাড়ী থেকে বের হওয়া Hajj Tips

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।

হজ্জের জন্য বাড়ী থেকে বের হওয়া Hajj Tips

১। হজ্জ ফ্লাইটের শিডিউল ও বিমানবন্দর হতে দুরত্বের উপর ভিত্তি করে আপনার হ্জ্জ এজেন্সি আপনাকে এর দুই একদিন আগে ঢাকা হ্জ্জ ক্যাম্পে নিয়ে যাবেন।

২। যেহেতু অধিকাংশ হজ্জযাত্রী বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন, তাই তাদেরকে কেন্দ্র করে এখানে একটি দৃশ্যপট চিন্তা করি; ধরুন প্রথমে আপনি সর্বপ্রথম ঢাকা হজ্জ ক্যম্পে যাবেন।

৩। চেক লিষ্ট অনুযায়ী আপনি আপনার ব্যাগ গোছান। ছোট একটি হাত ব্যাগ সঙ্গে নিবেন। (ওজন ৯-১০ কেজি) । প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ( টিকিট , পাসপোর্ট ইত্যাদি সাথে আরো তিনটি জিনিস রাখা অত্যন্ত জরুরি তা হচ্ছেঃ ধৈর্য, ত্যাগ এবং ক্ষমা।

৪। আপনি যখন বাড়ী থেকে বের হবেন খুব খুশি মন নিয়ে শান্তভাবে পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিবেন। সম্ভব হলে পরিবারে কয়েকজন আপনাকে কিছুদূর এগিয়ে দিয়ে আসা আপনার মনের প্রশান্তি ।

৫। সফরে বের হওয়ার সময় যাদেরকে রেখে যাচ্ছেন তাদের জন্য বলবেনঃ

“ আসতাওদি’উ কুমুল্ল- হাল্লাযী লা তাদী’উ ওয়াদা-য়ী উহ”

“ আমি তোমাদেরকে আল্লাহর হেফাজতে রেখে যাচ্ছি যার হেফাজতে থাকা কেউই ক্ষতিগ্রস্থ হয় না” । (বুখারী ১০৯৬, ইবনে মাজাহ)

৬। ঘর থেকে বের হয়ে আপনি এই দোয়াটি পড়তে পারেনঃ

“ বিসমিল্লাহি তাওক্কালতু আলাল্লাহি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”।

অর্থঃ “ আল্লাহর রওনা করছি, সকল ভরসা তারই উপর এবং আল্লাহ ব্যতিত কোন সামর্থ ও শক্তি নাই”। ( আবু দাউদ-৫০৯৬, তিরমিযি-৩৪২৬)

৭। যখন গাড়ী অথবা সিড়িতে উপরে উঠবেন তখন ‘আল্লহু আকবর’ সিটে বসে ‘আলহামদুলিল্লা’ এবং নামার সময় বলতে হবে সুবহানাল্লাহ। ( বুখারী, মিশকাতঃ ২৪৫৩)

৮। আপনি যখন কোন যানবাহনে যেমন ট্যাক্সি, রিক্সা, গাড়ী, বিমানে উঠবেন নিমনোক্ত দোয়া পাঠ করবেনঃ

“সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়া মা কুন্না লাহূ মুক্বরেনীনা; ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন।“

অর্থঃ “ পবিত্র সত্তা তিনি, যিনি এ বাহনকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। অথচ আমরা একে অনুগত করার ক্ষমতা রাখি না”। (সূরা-আল যুখরুফঃ১৩,১৪ মুসলিমঃ ১৩৪২)

৯। দূরের যাত্রী যারা ট্রেন অথবা বাসে এসে হজ্জ সঙ্গীদের সাথে সবাই একত্র হবেন একে অপরের সাথে কুশলাদি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

১০। যখন কোথাও ভ্রমন করবেন তিনজন অথবা এর অধিক এদের মধ্য থেকেই একজন আমীর নির্বাচন করে নিতে হবে, সে সকল কাজের নির্দেশনা ব্যবস্থাপনা করবেন। বাকীদের উচিত আমীরের নির্দেশনা শোনা এবং দলের শৃংখলা বজায় রাখা। (আবু দাউদঃ ২২৪২)

১১। ভ্রমন অবস্থায় আপনি বেশি বেশি করে দোয়া ও যকির করুন। মুসাফিরের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। এছাড়াও হজ্জ সম্পর্কে জ্ঞানের জন্য বই পড়াশুনা কর ভাল।

১২। সফরের সময় জুমআর সালাত না পড়ে যুহরের সালাত পড়তে হবে। যানবাহনে থাকার কারনে দিক নির্নয় করতে না পাড়লে পাশে কাউকে জিজ্ঞেস করুন, আর যদি দিক নির্নয় করতে না পাড়েন তাহলে কোন এক দিককে কিবলা নির্ধারন করবেন। ( সূরাঃ বাকারাহ, ২৩৯, আবু দাউদঃ ১২২৪)

১৩। অবতরন করার পর নিমনোক্ত দোয়াটি পড়বেন,

“ আ’উযু বিকালিমা-তিল্লা হিত তাম্মাতি মিন শার্রি মা খালাক্ব”।

“ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্য দ্বারা তার সৃষ্টির অনিষ্ট হতে আশ্রয় কামনা করছি”। মুসলিমঃ

১৪। নিজ গৃহে ফিরে প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলবেন তারপর পরিবারকে সালাম দিবেন।

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button