প্রবন্ধ

জান্নাতী রমণী-৪র্থ পর্ব

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেনা

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু।

স্বামীর উপর স্ত্রীর কপিতয় অধিকারঃ

যেমন করে স্বামী নিজ স্ত্রীর নিকট থেকে আশা করে যে সে তার যাবতীয় অধিকার সমূহ আদায় করে দিবে,তার খেদমত আঞ্জাম দিবে,অনুরূপ স্বামীর উপরও আবশ্যক হচ্ছে স্ত্রীর অধিকার সমূহ আদায় করা। তার নিকট থেকে সঠিক খেদমত পেতে চাইলে তার যাবতীয় উপকরণের ব্যবস্থা করে দেয়া। সেই সাথে স্ত্রীর কষ্ট হোক তার মানসিক যন্ত্রনার কারণ হোক এমন কোন আচরণ থেকে দূরে থাকা।

হাকীম বিন মুআবিয়া আল কুশাইরী বর্ণনা করেন তাঁর পিতা থেকে। তিনি বলেন,আমি একদা প্রশ্ন করলাম হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের উপর আমাদের স্ত্রীদের অধিকার কি?তিনি বললেন,

]أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ وَلا تَضْرِبِ الْوَجْهَ وَلا تُقَبِّحْ وَلا تَهْجُرْ إِلا فِي الْبَيْتِ[

“তুমি যখন পানাহার করবে তাকেও পানাহার করাবে। তুমি পোশাক পরলে তাকেও পোশাক পরাবে। কখনো তার মুখমন্ডলে প্রহার করবে। আর নিজ গৃহের মধ্যে ছাড়া অন্য কোথাও তাকে পৃথক করবে না।”[65]

মুসনাদে আহমাদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ وَلَا تُقَبِّحْ“তাকে গাল-মন্দ করবে না।” (মুসনাদে আহমাদ হা/১৯১৬২)

কাজেই স্ত্রীর ভরণ-পোষণের ব্যাপারে ঔদাসিন্য বা উপেক্ষা দেখান কোন মুসলমানের পক্ষেই জায়েয নয়। হাদীছে বলা হয়েছেঃ

]كَفَى بِالْمَرْءِ إِثْمًا أَنْ يُضَيِّعَ مَنْ يَقُوتُ[

“একজন লোকের গুনাহগার হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে,যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার উপর অর্পিত,তাদের প্রতি সে ব্যাপারে চরম উপেক্ষা দেখাবে।” (আবু দাউদ,হা/১৪৪২)

আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন,

]يَا عَبْدَاللَّهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ فَقُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَلا تَفْعَلْ صُمْ وَأَفْطِرْ وَقُمْ وَنَمْ فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا[

“হে আবদুল্লাহ! আমি সংবাদ পেয়েছি যে,তুমি নাকি দিনে রোযা রাখ আর রাতে নফল নামায আদায় কর?একথা ঠিক কি?

আমি বললামঃ হ্যাঁ,হে আল্লাহর রাসূল!

তিনি বললেন,এরূপ করো না। কখনো রোযা রাখবে কখনো ছাড়বে। কখনো ঘুমাবে কখনো নামায আদায় করবে। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হক রয়েছে। তোমার উপর তোমার চোখের হক রয়েছে। তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে।” (বুখারী,অধ্যায়ঃ ছিয়াম হা/১৮৩৯।)

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

]مَنْ كَانَتْ لَهُ امْرَأَتَانِ فَمَالَ إِلَى إِحْدَاهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّهُ مَائِلٌ[

“কারো যদি দু’জন স্ত্রী থাকে আর সে একজনকে ছেড়ে দ্বিতীয় জনের দিকেই বেশী গুরুত্বারোপ করে ও ধাবিত হয়,তবে সে ক্বিয়ামত দিবসে এমন অবস্থায় উঠবে যে তার শরীরের এক দিক থাকবে লটকানো।”[66]

     নারী-পুরুষকে নছীহত (কবিতা)

ওগো মাতা ওগো খালা ওগো আমার বোন

তোমাদের কথা কিছু শোন দিয়া মন।

যেই নারী পাঞ্জে গানা নামায পড়িবে

       আর রামাযানের রোযা কভু না ছাড়িবে।

আর নিজ ইজ্জতের রাখিবে খেয়াল

      ¯^vgxসেবা করে যাবে বাঁচে যত কাল।

তার জন্য জান্নাতের দ্বার খোলা হবে

       সেই দ্বার দিয়ে ইচ্ছা,জান্নাত চলে যাবে।

আরো কিছু শোন ওগো ভালবাসা বোন

       পুরুষের জন্য নারী অমূল্য রতন।

দুনিয়াতে যত ধন পুরুষের আছে

       সব থেকে মূল্যবান নারী তার কাছে।

কিন্তু সেই নারী বটে নেক হওয়া চায়

       ইহ-পরকালে তবে হবে সুখময়।

দুনিয়াতে জাহান্নাম বদ নারী যার

       ইহ পরকাল তার হবে ছারখার।

কষা জুতা পরে চলা যত কষ্টকর

       তার থেকে বেশী কষ্ট বদ নারী যার।

শোনরে স্ত্রী-জাতী,কোরআনের ফরমান

       পুরুষে হাকিম কইল,রহিম রহমান।

কেননা পুরুষ জাতী,বহু কষ্ট করে

আহার ও পোশাক তোমায় দেয় জড়ো করে।

এহেন পুরুষ তুমি রাজি যে রাখিলে

মরিয়ে জান্নাতে যাবে হাদীছেতে বলে।

শোনরে পুরুষ জাতী,কোরআনে ফরমান

তোমাদের নারী যদি হয় নাফারমান।

বুঝাইয়া দেখ তারে নানান প্রকারে

না বুঝিলে বিছানাতে দেহ জুদা করে।

এ দুই উপায়ে যদি ঠিক নাহি হয়

আদরের মার তবে কিছু মারা চায়।

অযথা মারিলে মার,আল্লাহ নারাজ হইবে

ক্বিয়ামতের কোটে আল্লাহ্‌ হিসাব কষিবে।

মিয়া বিবি মিলে মিশে চালাবে সংসার

নইলে ইহ-পরকাল হবে ছারখার।

                  (সৌজন্যেঃ মাওলানা মোহাম্মাদ হোসাইন সালাফী রহঃ)

সমাপ্ত

[১] . সূরা আহযাব- ৩৬

[২] . বুখারী, অধ্যায়ঃ কুরআন-সুন্নাহ্‌ আঁকড়ে ধরা। হা/৬৭৩৭।

[৩] . বুখারী, অধ্যায়ঃ যাকাত হা/১৩২৯। মুসলিম, অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, হা/৪৭৬৩।

[৪] . আহমাদ হা/২২৮৬৬।

[৫] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ দিয়াত হা/১৩৪১। নাসাঈ, অধ্যায়ঃ রক্ত হারাম প্রসঙ্গে হা/৪০২৭। আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ সুন্নাত, হা/৪১৪২।

[৬] . বুখারী, অধ্যায়ঃ আদব, হা/ ৫৫১৪। মুসলিম, অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, হা/৪৬২১।

[৭] . সূরা নিসা- ৩৪

[৮] . ইবনু মাজাহ্‌ অধ্যায়ঃ বিবাহ হা/ ১৮৪৩। শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ ছহীহুল জামে- হা/ ৫২৯৫

[৯] . সূরা নিসা- ৩৪

[১০] . মাজমু’ ফাতাওয়া- ৩২/২৭৫।

[১১] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ দুগ্ধপান, হা/২৬৬৮

[১২] . বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/ ৪৭০০। ও মুসলিম, অধ্যায়ঃ দুগ্ধপান, হা/ ২৬৬১।

[১৩] . হাকেম প্রমুখ, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ (ছহীহুল জামে হা/৮৮৭)

[১৪] . দারাকুতনী, আলবানী হাদীছটিকে হাসান বলেছেন- ছহীহুল জামে’ হা/২৩২৮)

[১৫] . ইবনু কাছীর ১/৭৪৩

[১৬] . মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৭৩ ইবনু হিব্বান, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ (ছহীহুল জামে হা/৬৬০)

[১৭] . ত্ববরানী, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ (সিলসিলা ছহীহা- হা/২৮৭।)

[১৮] . ছহীহ সুনান নাসাঈ অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/ ৩১৭৯।

[১৯] . আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ যাকাত, হা/১৪১৭।

[২০] . আহমাদ হা/১৮২৩৩, নাসাঈ, হাদীছ ছহীহ্‌, দ্রঃ আদাবুয যাফাফ- আলবানী পৃঃ ২৮৫)

[২১] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ দুগ্ধপান, হা/১০৮১, ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/১৮৪৪।

[২২] . মুসনাদে আহমাদ হা/১৫৭৩। ইবনু হিব্বান, ছহীহুল জামে হা/৬৬০

[২৩] . ঘটনাটি ইবনু আব্‌দে রাব্বেহী আন্দালুসী কর্তৃক প্রণীত ‘ত্ববায়েউন্‌ নেসা’ গ্রন্থে পৃঃ ৪৪-৪৬ দ্রষ্টব্য।

[২৪] . মুসলিম, অধ্যায় দু’ঈদের নামায, হা/ ১৪৬৭

[২৫] . ছহীহ্‌ তিরমিযী, অধ্যায়ঃ ছালাত, হা/৩২৮।

[২৬] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ দুগ্ধপান, হা/ ১০৯৪ ইবনু মাজাহ, বিবাহ, হা/২০০৪। শায়খআলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ ছহীহুল জামে হা/৭১৯২।

[২৭] . নাসাঈ, সিলসিলা ছহীহা- হা/২৮৯

[২৮] . আবদুল্লাহ্‌ বিন আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, বুখারী, অধ্যায়, বিবাহ্‌হা/৪৭৯৮। মুসলিম, অধ্যায়ঃ চন্দ্রগ্রহণের নামায, হা/১৫১২।

[২৯] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ তালাক ও লি’আন হা/১১০৭ আবু দাঊদ, ইবনু মাজাহ। ছহীহুল জামে হা/২৭০৬

[৩০] . বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/ ৪৭৯৩

[৩১] . সূরা রূম- ২১

[৩২] . বুখারী, অধ্যায়ঃ ওহীর সূচনা, হা/ ২৯৯৮। ছহীহ্‌ মুসলিম, অধ্যায়ঃ বিবাহ হা/ ২৫৯৪।

[৩৩] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ দুগ্ধপান, হা/১০৮০।

[৩৪] . মুসলিম, বিবাহ, অধ্যায়ঃ হা/২৫৯৫

[৩৫] . আহমাদ হা/২৬৩০১, হাদীছটি শায়খ আলবানী ছহীহ্‌ বলেছেন, দ্রঃ (আদাবুয্‌ যাফাফ পৃঃ ১৪৪)

[৩৬] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/২৫৯৮।

[৩৭] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/২৫৯৭।

[৩৮] . তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ্‌, মুসনাদ আহমাদ, ছহীহ্‌ আল জামে হা/ ২৭০৮ ছহীহ তারগীব তারহীব ১৬৪-১৬৬

[৩৯] . র্ই‌উয়াউল গালীল হা/২০০৪, ছহীহ তারগীব ও তারহীব হা/ ৯৩১, ছহীহুল জামে হা/ ৭৬৪৮ হাদীছটির মূল ছহীহ্‌ বুখারীতে রয়েছে।

[৪০] . সূরা আহযাব- ৩৩

[৪১] . তাফসীর ইবনু কাছীর- ৩/৭৬৮

[৪২] . আহমাদ, হাকেম, শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ্‌ বলেন, দ্রঃ (ছহীহুল জামে হা/ ৭৫২০)

[৪৩] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ যুহ্‌দ, হা/২৩৩ (আয়েশা রাঃ) থেকে হাদীছটি বর্ণিত।

[৪৪] . ছহীহ মুসলিম হা/ ২১৮২

[৪৫] . ত্ববরানী ফিল কাবীর, ছহীহুল জামে হা/ ৫২৫৯

[৪৬] . বুখারী, অধ্যায়ঃ দু’আ, হা/৫৮৪৩।

[৪৭] . আ’লামুন্নেসা ১/৭৪, ত্বাবায়েউন্নেসা পৃঃ ২৮

[৪৮] . ইসমাঈল (আঃ) এর স্ত্রীর সাথে ইবরাহীম (আঃ) এর আচরণ সম্পর্কে আমরা সকলেইঅবগত আছি। ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, একদা ইবরাহীম (আঃ) তাঁর পরিবারকে দেখার জন্য মক্কা আগমণকরলেন। এসে ইসমাঈলকে বাড়ীত নাপেয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তাদের জীবনধারণ সম্পর্কে? সে বলল, আমরা খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। আমরা সংকীর্ণতা ওকঠিন অবস্থায় জীবন-যাপন করছি। তিনি বললেন, তোমার স্বামী এলে তাকে আমারসালাম দিবে এবং বলবে ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করতে। ইসমাঈল (আঃ) ফিরে এসেবললেন, মনে হচ্ছে কেউ এসেছিল? স্ত্রী বলল, এরকম একজন বৃদ্ধ এসেছিলেন। উনিআমাদের জীবন-যাপন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আমি বলেছি আমরা কষ্ট ও দুঃখেদিনাতিপাত করছি। ইসমাঈল বললেন, উনি কিছু বলেছেন? সে বলল, হ্যাঁ, আপনাকেসালাম পৌঁছাতে বলেছেন এবং বলেছেন আপনার ঘরের দরজার চৌকাঠ পরিবর্তন করতে।তিনি বললেন, বৃদ্ধ লোকটি আমার পিতা ছিলেন। তিনি আমার ঘরের দরজার চৌকাঠপরিবর্তন করতে বলেছেন, অর্থাৎ তোমাকে তালাক দিতে বলেছেন। তুমি তোমারপরিবারের কাছে চলে যাও। তিনি তাকে তালাক দিয়ে দিলেন।

কিছুদিন পর ইসমাঈল অন্য একটি বিবাহ করলেন। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ) পূনরায় একদিনতাদের বাড়ীতে বেড়াতে এলেন। সেদিনও ইসমাঈলকে পেলেন না। তার স্ত্রীর কাছেজিজ্ঞেস করলে স্ত্রী বলল, রোজগারের জন্য বাইরে গেছেন। ইবরাহীম জিজ্ঞেসকরলেন, তোমরা কেমন আছো? তোমাদের কেমন দিন যাচ্ছে? মহিলা বলল, আমরা খুব ভালআছি। সে আল্লাহর প্রশংসা করল। তিনি বললেন, তোমার স্বামী এলে তাকে আমারসালাম দিবে এবং বলবে ঘরের দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখতে। ইসমাঈল ফিরে এসে প্রশ্নকরলেন, কেউ এসেছিল কি? স্ত্রী বলল, একজন সম্মানিত বৃদ্ধ ব্যক্তি এসেছিলেন।একথা বলে সে তাঁর প্রশংসা করল। তিনি আমাদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেআমি বলেছি আমরা কল্যাণের মাঝে আছি। ইসমাঈল প্রশ্ন করলেন, তিনি কি কোননির্দেশ দিয়েছেন? সে বলল, উনি আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং আদেশ দিয়েছেন আপনারঘরের দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখতে। তিনি বললেন, তিনি ছিলেন আমার পিতা। আর ঘরেরদরজার চৌকাঠ হচ্ছে, তুমি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যেন তোমাকে আমি বিছিন্ন নাকরি।” (ছহীহ বুখারী, অধ্যায়ঃ নবীদের সম্পর্কে হাদীছ, হা/৩১১৩।)

[৪৯] . বুখারী, অধ্যায়ঃ বিবাহ, হা/৪৭৪৭।

[৫০] . তিরমিযী, অধ্যায়ঃ দুগ্ধপান, হা/১০৯৩।

[৫১] . তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ্‌, মুসনাদ আহমাদ, ছহীহ্‌ আল জামে হা/ ২৭০৮ ছহীহ তারগীব তারহীব ১৬৪-১৬৬।

[৫২] . বুখারী, অধ্যায়ঃ কুরআন-সুন্নাহ্‌ আঁকড়ে ধরা। হা/৬৭৩৭।

[৫৩] . আহমাদ হা/৬৭৮৬।

[৫৪] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ পোশাক ও সৌন্দর্য, হা/৩৯৭১।

[৫৫] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ যিকির, দু’আ.., হা/৪৯২৫।

[৫৬] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ হজ্জ, হা/২১৩৭।

[৫৭] . ইবনু মাজাহ্‌, অধ্যায়ঃ ফিতান, হা/৪০০৯।

[৫৮] . বুখারী, অধ্যায়ঃ অনুমতি প্রার্থনা হা/৫৭৭৪। মুসলিম, অধ্যায়ঃ তকদীর হা/ ৪৮০১।

[৫৯] . মুসলিম, অধ্যায়ঃ পোশাক ও সৌন্দর্য, হা/৩৯৭১।

[৬০] . তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাউদ, ছহীহুল জামে হা/২৭০১।

[৬১] . আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ্‌, ছহীহুল জামে হা/ ২৫২৬

[৬২] . খন্দকার অ ন ম আবদুল্লাহ্‌ জাহাঙ্গীর অনুদিত শাইখ বিন বায (র:) প্রণীত ‘ইসলামী হিজাব বা পর্দা’ পুস্তক থেকে সংকলিত।

[৬৩] . আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ বিবাহ হা/১৮৩০।

[৬৪] . প্রহারের বিষয়টি পাঠ করার পর প্রগতিবাদী, নারী স্বাধীনতার মিথ্যাদাবীদার ইসলাম বিদ্বেষী পশ্চাত্যের গোলামরা চেঁচামেচী করতে পারে যে, স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবে? তাকে প্রহার করবে? এটা ইসলামের মধ্যে নারীদেরঅবমাননা, অমর্যাদা ও তাদের স্বাধীনতা খর্ব করার দলীল। আমি তাদের বোধদয়েরজন্য তাদেরই প্রভুদের দেশ আমেরিকা-ইউরোপের কিছু হাল-চিত্র তুলে ধরতে চাই-যারা কিনা নারী স্বাধীনতার নামে নরীদেরকে নিজেদের ভোগের সামগ্রীতে পরিণতকরেছে।

– আমেরিকার টাইমস পত্রিকা তথ্য প্রকাশ করেছে যে, আমেরিকাতে প্রতি বছর ৬০লক্ষ্য নারী স্বামীদের পক্ষ থেকে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে থাকে। এদের মধ্যে ২থেকে ৪ হাজার নারী অতিরিক্ত প্রহারের কারণেই মৃত্যু বরণ করে। পুলিশবিভাগের লোকেরা স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কোন্দল ও যুলম-নির্যাতনের ঘটনারবিবরণ শোনার জন্য তাদের দুই তৃতীয়াংশ সময় ব্যয় করে থাকে।

-১৯৮৭সালের একটি গবেষণার পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৭৯% শতাংশ লোক স্ত্রীদেরকেনানাভাবে প্রহার করে থাকে। দক্ষিণ কারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তাত্বিকবিভাগের প্রফেসর ডঃ জোন পেরের উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে এগবেষণাটি চলিয়েছিলেন।

– জাপানে তালাকের দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে প্রহার করা।

– ১৯৮০ সালে ব্রাজিলের শুধুমাত্র সাওবালো নামক একটি শহরে ৭৭২ জন নারীকে তাদের স্বামীগণ হত্যা করে।

– কানাডার সমাজ কল্যাণ বিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে সেখানকার এক চতুর্থাংশ নারীতথা প্রায় ৮ মিলিয়ন নারী প্রতিবছর লাঞ্ছনা-নির্যাতনের স্বীকার হয়ে থাকে।

– প্রতি ৮ সেকেন্ডে আমেরিকাতে একজন নারী লাঞ্ছনার স্বীকার হয়।

– জার্মানীতে প্রতি বছর ১ লক্ষ নারী প্রহারের স্বীকার হয়। এবং ফ্রান্সে ২ মিলিয়ন।

– প্যারিসে রাতের বেলায় সাহায্যের জন্য ৬০ শতাংশ টেলিফোন নারীদের পক্ষ থেকেপুলিশের কাছে এসে থাকে। (শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম প্রণীত ‘ইসলামে নারীরমর্যাদা’ পৃঃ ২১-২৬)

[৬৫] . আবু দাঊদ, অধ্যায়ঃ বিবাহ হা/১৮৩০। শায়খ আলবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন, দ্রঃ ইরউয়াউল গালীল ৭/৯৮।

[৬৬] . আবু দাউদ, বিবাহ অধ্যায় হা/১৮২১, তিরমিযী, বিবাহ অধ্যায় হা/১০৬০। আলাবানী হাদীছটিকে ছহীহ বলেন ইরওয়াউল গালীল ৭/৮০।___________________________________________________________________

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button