প্রবন্ধ

কুরআন-সুন্নাহ্‌র আলোকে সংবলিত দোয়াসমূহ পর্ব ৩

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।

মূলঃ ড. সাঈদ ইব্‌ন আলী ইব্‌ন ওয়াহফ আল-ক্বাহত্বানী অনুবাদ ও সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

১৭. রুকূ‘র দো

33-(1) «سُبْحانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ». .

(সুবহা-না রব্বিয়াল আযীম)।

৩৩-(১) “আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার)[1]

34-(2) «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».

(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী)।

৩৪-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি আপনার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[2]

35-(3) «سُبُّوُحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ المَلاَئِكَةِ وَالرُّوحِ».

(সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-’ইকাতি ওয়াররূহ)।

৩৫-(৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।”[3]

36-(4) «اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي، وَبَصَرِي، وَمُخِّي، وَعَــــظْمِي، وَعَصَبِي، [وَمَا استَقَلَّتْ بِهِ قَدَمِي]».

(আল্লা-হুম্মা লাকা রাকাতু, ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আস্‌লামতু। খাশাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্‌খী ওয়া আযমী ওয়া আসাবী [ওয়ামাস্তাক্বাল্লাত বিহি কাদামী])।

৩৬-(৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রুকু করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড়, আমার পেশী, সবই আপনার জন্য বিনয়াবনত। [আর যা আমার পা বহন করে দাঁড়িয়ে আছে (আমার সমগ্র সত্তা) তাও (আপনার জন্য বিনয়াবনত)]”[4]

37-(5) «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ».

(সুবহা-নাযিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া’ই ওয়াল আযামাতি)।

৩৭-(৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী”[5]

১৮. রুকু থেকে উঠার দো

38-(1) «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ».

(সামিআল্লা-হু লিমান হামিদাহ)।

৩৮-(১) “যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)।”[6]

39-(2) «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ، حَمْداً كَثيراً طَيِّباً مُبارَكاً فِيهِ».

(রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবারাকান ফীহি)

৩৯-(২) “হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।”[7]

40-(3) «مِلْءَ السَّمَوَاتِ وَمِلْءَ الأَرْضِ، وَمَا بَيْنَهُمَا، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيءٍ بَعْدُ. أَهلَ الثَّناءِ وَالْمَجْدِ، أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ، وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ. اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ».

(মিল’আস সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমা, ও মিল’আ মা শিতা মিন শাইয়িন বাদু, আহলাস সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা ক্বালাল আবদু, ওয়া কুল্লুনা লাকা আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বাইতা, ওয়ালা মুতিয়া লিমা মানাতা, ওয়ালা ইয়ানফায়ু যাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।

৪০-(৩) “(আপনার প্রশংসা করছি) আসমানসমূহ পূর্ণ করে, যমীন পূর্ণ করে ও যা এ দু’টির মাঝে রয়েছে (তাও পূর্ণ করে), আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে প্রশংসা ও সম্মান-মর্যাদার যোগ্য সত্ত্বা! বান্দা সবচেয়ে যে সঠিক কথাটি বলেছে তা হচ্ছে—আর আমরা সবাই আপনার বান্দা— হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো কাজে লাগবে না।”[8]

১৯. সিজদার দো

41-(1) «سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى».

(সুবহানা রব্বিয়াল আলা)

৪১-(১) “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।” (তিনবার)[9]

42-(2) «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي».

(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী)।

৪২-(২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।”[10]

43-(3) «سُبوحٌ، قُدُّوسٌ، رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَالرُّوحِ».

(সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।

৪৩-(৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।”[11]

44-(4) «اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ، سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَصَوَّرَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسنُ الْخَالِقينَ».

(আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্‌সানুল খালিক্বীন)।

৪৪-(৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্‌ অত্যন্ত বরকতময়।”[12]

45-(5) «سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ، وَالْمَلَكُوتِ، وَالْكِبْرِيَاءِ، وَالْعَظَمَةِ».

(সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল আযামাতি)।

৪৫-(৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।”[13]

46-(6) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي كُلَّهُ: دِقَّهُ وَجِلَّهُ، وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَعَلاَنِيَّتَهُ وَسِرَّهُ».

(আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু, ওয়া আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।

৪৬-(৬) “হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ।”[14]

47-(7) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ، وَبِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقوبَتِكَ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْكَ، لاَ أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ، أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্‌সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা আলা নাফসিকা)।

৪৭-(৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন”।[15]

২০. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো

48-(1) «رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي».

(রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী)

৪৮-(১) হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[16]

49-(2) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَاجْبُرْنِي، وَعَافِنِي، وَارْزُقْنِي، وَارْفَعْنِي».

(আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়াআফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফানী)

৪৯-(২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন”[17]

২১. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো

50-(1) «سَجَدَ وَجْهِيَ لِلَّذِي خَلَقَهُ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ، ﴿فَتَبارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ﴾».

(সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু, ওয়া শাক্কা সাম্আহু ওয়া বাসারাহু, বিহাওলিহি ওয়া কুওয়াতিহি, ফাতবারাকাল্লা-হু আহ্‌সানুল খা-লিক্বীন)।

৫০-(১) “আমার মুখমণ্ডল সিজদা করেছে সে সত্তার জন্য, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, আর নিজ শক্তি ও ক্ষমতাবলে এর কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সুতরাং সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্‌ অত্যন্ত বরকতময়।”[18]

51-(2) «اللَّهُمَّ اكْتُبْ لِي بِهَا عِنْدَكَ أَجْراً، وَضَعْ عَنِّي بِهَا وِزْراً، وَاجْعَلْهَا لِي عِنْدَكَ ذُخْراً، وَتَقَبَّلْهَا مِنِّي كَمَا تَقَبَّلْتَهَا مِنْ عَبْدِكَ دَاوُدَ».

(আল্লা-হুম্মাক্তুব লী বিহা ইনদাকা আজরান, ওয়াদা‘ ‘আন্নী বিহা উইযরান, ওয়াজ ‘আলহা লী ইনদাকা যুখরান, ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন আবদিকা দাঊদ)।

৫১-(২) “হে আল্লাহ! এই সিজদার বদৌলতে আপনার নিকট আমার জন্য প্রতিদান লিখে রাখুন, এর দ্বারা আমার পাপসমূহ ফেলে দিন, এটাকে আপনার কাছে আমার জন্য সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখুন, আর একে আমার থেকে কবুল করুন যেমন কবুল করেছেন আপনার বান্দা দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর থেকে”।[19]

২২. তাশাহ্‌হুদ

52- «التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَواتُ، وَالطَّيِّباتُ، السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ. أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّداً عَبْدُهُ وَرَسولُهُ».

(আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্‌সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু আস্‌সালা-মু আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকাতুহু। আস্‌সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিস সা-লেহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু)।

৫২- “যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহ্‌র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহ্‌র সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক সালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্‌র বান্দা ও রাসূল”।[20]

২৩. তাশাহ্‌হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ

53-(1) «اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ».

(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ)।

৫৩-(১) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত”।[21]

54-(2) «اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْوَاجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ. وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى أَزْواجِهِ وَذُرِّيَّتِهِ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ. إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ».

(আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিউওয়া আলা আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা সাল্লাইতা আলা আলি ইবরাহীমা, ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদিউওয়া আলা আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা বা-রাক্তা ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ)।

৫৪-(২) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরকেও, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনকে। আর আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীমের পরিবার- পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত”।[22]

২৪. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো

55-(1) «اللَّهُــمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল)।

৫৫-(১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে”।[23]

56-(2) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মাছামি ওয়াল মাগরামি)।

৫৬-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের বোঝা থেকে”।[24]

57-(3) «اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْماً كَثِيراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفورُ الرَّحيمُ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম)।

৫৭-(৩) “হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু”।[25]

58-(4) «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ، وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَسْرَفْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي. أَنْتَ الْمُقَدِّمُ، وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ».

(আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া মা আখ্‌খারতু ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আলান্তু ওয়া মা আসরাফ্‌তু ওয়া মা আনতা আললামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আনতা)।

৫৮-(৪) “হে আল্লাহ! ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি, যা সীমালঙ্ঘন করে করেছি, আর যা আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন। আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”[26]

59-(5) «اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبادَتِكَ».

(আল্লা-হুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ও শুকরিকা ওয়াহুসনি ইবা-দাতিকা)।

৫৯-(৫) “হে আল্লাহ! আপনার যিক্‌র করতে, আপনার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন”।[27]

60-(6) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া ‘আউযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল্ উমুরি, ওয়া আঊযু বিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুনইয়া ও আযা-বিল ক্বাবরি)।

৬০-(৬) “হে আল্লাহ ! আমি আপনার আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই কাপুরুষতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই চরম বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আর আপনার আশ্রয় চাই দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে।”[28]

61-(7) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান্নার)।

৬১-(৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই”।[29]

62-(8) «اللَّهُمَّ بِعِلْمِكَ الغَيْبَ وَقُدْرَتِكَ عَلَى الْخَلقِ أَحْيِنِي مَا عَلِمْتَ الْحَيَاةَ خَيْراً لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا عَلِمْتَ الْوَفَاةَ خَيْراً لِي، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَشْيَتَكَ فِي الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، وَأَسْأَلُكَ كَلِمَةَ الْحَقِّ فِي الرِّضَا وَالْغَضَبِ، وَأَسْأَلُكَ الْقَصْدَ فِي الْغِنَى وَالْفَقْرِ، وَأَسْأَلُكَ نَعِيماً لاَ يَنْفَدُ، وَأَسْأَلُكَ قُرَّةَ عَيْنٍ لاَ تَنْقَطِعُ، وَأَسْأَلُكَ الرِّضَا بَعْدَ الْقَضَاءِ، وَأَسْــــأَلُكَ بَرْدَ الْعَيْشِ بَعْدَ الْمَوْتِ، وَأَسْأَلُكَ لَذَّةَ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِكَ، وَالشَّوْقَ إِلَى لِقائِكَ فِي غَيرِ ضَرَّاءَ مُضِرَّةٍ، وَلاَ فِتْنَةٍ مُضِلَّةٍ، اللَّهُمَّ زَيِّنَا بِزِينَةِ الإِيمَانِ، وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُهْتَدِينَ».

(আল্লা-হুম্মা বি‘ইলমিকাল গাইবি ওয়া কুদরাতিকা আলাল খালক্বি আহয়িনী মা আলিম্‌তাল হায়া-তা খাইরাল্ লী ওয়া তাওয়াফ্‌ফানী ইযা আলিম্‌তাল ওয়াফা-তা খাইরাল লী। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাশইয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ-শাহাদাতি ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্বক্বি ফির-রিদা ওয়াল-গাদাবি। ওয়া আসআলুকাল কাসদা ফিল গিনা ওয়াল ফাক্বরি, ওয়া আসআলুকা না‘ঈমান লা ইয়ানফাদু, ওয়া আসআলুকা ক্বুররতা আইনিন লা তানকাতি‘উ, ওয়া আস্আলুকার-রিদা বা‘দাল কাদায়ে, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘দাল মাওতি, ওয়া আসআলুকা লাযযাতান-নাযারি ইলা ওয়াজহিকা, ওয়াশ-শাওক্বা ইলা লিক্বাইকা, ফী গাইরি দাররাআ মুদিররাতিন ওয়ালা ফিতনাতিম মুদিল্লাহ। আল্লা-হুম্মা যাইইন্না বিযীনাতিল ঈমানি ওয়াজ‘আলনা হুদাতাম মুহতাদীন)।

৬২-(৮) “হে আল্লাহ! আপনার গায়েবী জ্ঞান এবং সকল সৃষ্টির উপর আপনার সার্বভৌম ক্ষমতার অসিলায় (চাই), আমাকে আপনি জীবিত রাখুন সে-সময় পর্যন্ত, যে সময় পর্যন্ত জীবিত থাকা আপনার জ্ঞানে আমার জন্য কল্যাণকর; আর আমাকে মৃত্যু দিন যখন আপনি জানেন যে, মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট চাই গোপনে ও প্রকাশ্যে আপনাকে ভয় করা; আপনার নিকট চাই সন্তুষ্টি ও ক্রোধ উভয় অবস্থায় সত্য কথা বলা; আপনার নিকট চাই দারিদ্র্যে ও প্রাচুর্যে ভারসাম্যপূর্ণ (মধ্যম) পন্থা। আপনার নিকট চাই এমন নে‘আমত, যা কখনো শেষ হবে না; আপনার নিকট চাই এমন নয়নাভিরাম বস্তু, যা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। আর আমি আপনার নিকট চাই (তাকদীরের) ফয়সালার পর সন্তোষ; আমি আপনার নিকট চাই মৃত্যুর পর প্রশান্ত জীবন। আমি আপনার নিকট চাই আপনার চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাতের স্বাদ, আপনার নিকট চাই আপনার সাথে সাক্ষাৎ লাভের ব্যাকুলতা; এমন যে, তাতে থাকবে না কোনো ক্ষতিকর কষ্ট কিংবা ভ্রষ্টকারী ফেতনা। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঈমানের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত করুন এবং আমাদেরকে হেদায়াত-প্রাপ্ত পথপ্রদর্শক বানান”।[30]

63-(9) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ يَا أَللَّهُ بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يولَدْ، وَلَمْ يَكنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ، أَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِّيمُ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া আল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস্ সমাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইয়ূলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফূওয়ান আহাদ, আন্ তাগফিরালী যুনূবী, ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রহীম)।

৬৩-(৯) “হে আল্লাহ! আপনিই একক, অদ্বিতীয়, অমুখাপেক্ষী; যিনি জন্ম দেন নি, জন্ম নেনও নি; আর যার সমকক্ষ কেউ নেই। তাই হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই, যেন আপনি আমার সকল গুনাহ্‌ ক্ষমা করে দেন; নিশ্চয় আপনি অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”।[31]

64-(10) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ وَحْدَكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ، الْمَنَّانُ، يَا بَدِيعَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকাল মান্না-নু, ইয়া বাদী‘আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদী, ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যূমু, ইন্নী আসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আঊযু বিকা মিনান্না-র)।

৬৪-(১০) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই; কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, সীমাহীন অনুগ্রহকারী; হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্তার ধারক! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।”[32]

65-(11) «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ».

(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশ্‌হাদু আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ূলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।

৬৫-(১১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই। কেননা, আমি সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই; আপনি একক সত্তা, অমুখাপেক্ষী—সকল কিছু আপনার মুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং জন্ম নেনও নি। আর যাঁর সমকক্ষ কেউ নেই”।[33]

[1] সুনানের গ্রন্থাকারগণ ও আহমাদ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৮৭০; তিরমিযী, নং ২৬২; নাসাঈ, নং ১০০৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৮৯৭; আহমাদ, নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।

[2] বুখারী ১/৯৯, নং ৭৯৪; মুসলিম ১/৩৫০, নং ৪৮৪।

[3] মুসলিম ১/৩৫৩, নং ৪৭৪; আবূ দাউদ ১/২৩০, নং ৮৭২।

[4] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১; তাছাড়া চার সুনান গ্রন্থকারগণের মধ্যে ইবন মাজাহ ব্যতীত সবাই তা উদ্ধৃত করেছেন। আবূ দাউদ, নং ৭৬০, ৭৬১; তিরমিযী, নং ৩৪২১; নাসাঈ, নং ১০৪৯; তবে দুই ব্রাকেটের অংশ ইবন খুযাইমার শব্দ, নং ৬০৭; ইবন হিব্বান, নং ১৯০১।

[5] আবূ দাউদ ১/২৩০, নং ৮৭৩; নাসাঈ, নং ১১৩১; আহমাদ, নং ১৩৯৮০। আর তার সনদ হাসান।

[6] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮২, নং ৭৯৬।

[7] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ২/২৮৪, নং ৭৯৬।

[8] মুসলিম, ১/৩৪৬; নং ৪৭৭।

[9] হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ ও ইমাম আহমাদ সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, হাদীস নং ৮৭০; তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২; নাসাঈ, হাদীস নং ১০০৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭; আহমাদ, হাদীস নং ৩৫১৪। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৮৩।

[10] বুখারী, নং ৭৯৪; মুসলিম, নং ৪৮৪; পূর্বে ৩৪ নং তা গত হয়েছে।

[11] মুসলিম ১/৩৫৩, নং ৪৮৭; আবূ দাউদ, নং ৮৭২। পূর্বে ৩৫ নং এ গত হয়েছে।

[12] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১ ও অন্যান্যগণ।

[13] আবু দাঊদ ১/২৩০, নং ৮৭৩; নাসাঈ, নং ১১৩১; আহমাদ, নং ২৩৯৮০। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবু দাউদে ১/১৬৬ সহীহ বলেছেন। যার তাখরীজ ৩৭ নং এ চলে গেছে।

[14] মুসলিম ১/২৩০, নং ৪৮৩।

[15] মুসলিম ১/৩৫২, নং ৪৮৬।

[16] আবূ দাউদ ১/২৩১, নং ৮৭৪; ইবন মাজাহ্‌ নং ৮৯৭। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৪৮।

[17] হাদীসটি নাসাঈ ব্যতীত সুনান গ্রন্থগারগণ সবাই সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, ১/২৩১, নং ৮৫০; তিরমিযী, নং ২৮৪, ২৮৫; ইবন মাজাহ, নং ৮৯৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ১/৯০; সহীহ ইবন মাজাহ ১/১৪৮।

[18] তিরমিযী, ২/৪৭৪, নং ৩৪২৫; আহমাদ ৬/৩০; নং ২৪০২২; হাকিম ও সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী সেটা সমর্থন করেছেন, ১/২২০; আর বাড়তি অংশটুকু তাঁরই। আয়াতটুকু সূরা আল-মুমিনূন এর ১৪ নং আয়াত।

[19] তিরমিযী ২/৪৭৩, নং ৫৭৯; হাকেম ও সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী সমর্থন করেছেন, ১/২১৯।

[20] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ১১/১৩, নং ৮৩১; মুসলিম ১/৩০১, নং ৪০২।

[21] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৪০৮, নং ৩৩৭০; মুসলিম, নং ৪০৬।

[22] বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৪০৭, নং ৩৩৬৯; মুসলিম ১/৩০৬, নং ৪০৭। আর শব্দটি মুসলিমের।

[23] বুখারী ২/১০২, নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৮। আর শব্দ মুসলিমের।

[24] বুখারী ১/২০২, নং ৮৩২; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৭।

[25] বুখারী ৮/১৬৮, নং ৮৩৪; মুসলিম ৪/২০৭৮, নং ২৭০৫।

[26] মুসলিম ১/৫৩৪, নং ৭৭১।

[27] আবূ দাউদ ২/৮৬, নং ১৫২২; নাসাঈ ৩/৫৩, নং ২৩০২। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাঊদ ১/২৮৪ এটাকে সহীহ বলেছেন।

[28] বুখারি, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৫, নং ২৮২২ ও নং ৬৩৯০।

[29] আবূ দাউদ, নং ৭৯২; ইবন মাজাহ্‌ নং ৯১০। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩২৮।

[30] নাসাঈ ৩/৫৪, ৫৫, নং ১৩০৪; আহমাদ ৪/৩৬৪, নং ২১৬৬৬। আর শাইখ আলবানী সহীহুন নাসাঈ ১/২৮১ তে একে সহীহ বলেছেন।

[31] নাসাঈ ৩/৫২, নং ১৩০০; শব্দ তাঁরই, আহমাদ ৪/৩৩৮, নং ১৮৯৭। আর আলবানী সহীহুন নাসাঈ ১/২৮০ তে একে সহীহ বলেছেন।

[32] হাদীসটি সুনানগ্রন্থকারগণ সকলে সংকলন করেছেন। আবূ দাউদ, নং ১৪৯৫; তিরমিযী, নং ৩৫৪৪; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৫৮; নাসাঈ, নং ১২৯৯। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩২৯।

[33] আবূ দাউদ ২/৬২, নং ১৪৯৩; তিরমিযী ৫/৫১৫, নং ৩৪৭৫; ইবন মাজাহ, ২/১২৬৭, নং ৩৮৫৭; নাসাঈ, নং ১৩০০, আর শব্দ তাঁরই; আহমাদ নং ১৮৯৭৪। আর শাইখ আলবানী সহীহ নাসাঈ ১/২৮০ তে একে সহীহ বলেছেন। তাছাড়া আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ ২/৩২৯; সহীহ আত-তিরমিযী, ৩/১৬৩।

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button