প্রবন্ধ

ব্যভিচার একটি নিকৃষ্ট কাজ

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে, যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।

ব্যভিচার একটি নিকৃষ্ট কাজ

 

ব্যভিচার একটি মারাত্মক অপরাধ। হত্যার পরই যার অবস্থান। কারণ, তাতে বংশ পরিচয় সঠীক থাকে না। লজ্জানের হিফাযত হয় না। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সামাজিক সম্মান রক্ষা পায় না। মানুষে মানুষে কঠিন শত্রু রতার জন্ম নেয়। দুনিয়ার সুস্থ পারিবারিক ব্যবস্থা এতটুকুও অবশিষ্ট থাকে না। একে অন্যের মা, বোন, স্স্ত্রী কন্যাকে সম্পূর্নরুপে বিনষ্ট করে দেয়। এ কারণেই তো আল্লাহ তা’আলা এবং তদীয় রাসূল (ছাঃ) হত্যার পরই এর উল্লেখ করেছেনঃ

وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ يَلْقَ أَثَامًايُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًاإِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

আর যারা আল্লাহ তাআলার পাশাপাশি অন্য কোন উপাস্যকে ডাকে না। আল্লাহ তাআলা যাকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। যথার্থ (শরীয়ত সম্মত) কারণ ছাড়া তাকে হত্যা এবং ব্যভিচার করে না। যারা এগুলো করবে তারা অবশ্যই কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। কিয়ামতের দিন তাদেরকে দিগুণ শাস্তি দেয়া হবে এবং তারা ওখানে চিরস্থায়ীভাবে লাঞ্ছিতবস্থায় থাকবে। তবে যারা তাওবা করে নেয়, ঈমান আনে এবং সকর্ম করে; আল্লাহ তাআলা তাদের পাপগুলো পুন্য দিয়ে পরিবর্তন করে দিবেন। আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু (ফুরকানঃ ৬৮-৭০)

আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ

قَلَرَجُلٌ:يَرَسُولَ اللَّه! أَيُّ الذَّنبِ أَكبَرُ عِندَ اللَّ؟ قَ لَ:أَنتَدعُوَ لِلهِ نِدَّا وَهُوَخَلَقَكَ، قَ لَ:أَن تَقتُلَ وَلَدَكَ خَشيَةَ أَن يَّطعَمَ مَعَكَ، قَ لَ:ثُمَّ أَيٌّ؟ قَ لَ:أَنتُزَ انِيَ بِحَلِيلَةِ جَارِكَ

জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলো: হে আল্লাহর রাসূল! কোন পাপটি আল্লাহ তাআলার নিকট মহাপাপ বলে বিবেচিত? রাসূল (ছাঃ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলার সাথে কাউকে শরীক করা; অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বললোঃ অতঃপর কি? তিনি বললেনঃ নিজ সন্তানকে হত্যা করা ভবিষ্যতে তোমার সঙ্গে খাবে বলে। সে বললো: অতঃপর কি? তিনি বললেন: নিজ প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করা ( বুখারী ৪৪৭৭, ৪৭৬১, ৬০০১, মুসলিমঃ ৮৬)

আল্লাহ তা’আলা কুর’আন মাজীদে ব্যভিচারের কঠিন নিন্দা করেন। তিনি বলেনঃ

وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا

তোমরা যেনা তথা ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়ো না। কারণ, তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ(ইসরা/বানী ইসরা’ঈল: ৩২)

তবে এ ব্যভিচার মুহরিমা ( যে মহিলাকে বিবাহ করা শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম) এর সাথে হলে তা আরো জঘন্য। এ করণেই আল্লাহ তা’আলা বাপ-দাদার স্ত্রীদেরকে বিবাহ করা স্পর্কে বলেনঃ

وَلَا تَنكِحُوا مَا نَكَحَ آبَاؤُكُم مِّنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۚ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَمَقْتًا وَسَاءَ سَبِيلًا

তোমরা নিজেদের বাপ-দাদার স্ত্রীদেরকে বিবাহ করো না। তবে যা গত হয়ে গেছে তা আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিবেন। নিশ্চই তা অশ্লীল, অরুচিকর ও নিকৃষ্টতম পন্থ ( নিসাঃ ২২)

বারা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ

একদা আমার চাচার সঙ্গে আমার সাক্ষা হয়। তার হাতে ছিলো একখানা ঝান্ডা। আমি তাকে জিজ্ঞেসা করলাম: আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেনঃ

আমাকে রাসূল (ছাঃ) এমন এক ব্যক্তির নিকট পাঠিয়েছেন যে নিজ পিতার স্ত্রী তথা তার স মায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। রাসূল ( ছাঃ ) আমাকে আদেশ করেছেন তার গর্দান কেটে দিতে এবং তার সম্পদ হরণ করতে। (আবূ দাঊদঃ ৪৪৫৭, ইবনু মাজাহঃ ২৬৫৬)

মুহরিমাকে বিবাহ করা যদি এতো বড় অপরাধ হয়ে থাকে তা হলে তাদের সাথে ব্যভিচার করা যে কতো বড়ো অপরাধ হবে তা সহজেই বুঝা যায়। আল্লাহ তা’আলা লজ্জাস্থান হিফাযতকারীকে সফলকাম বলেছেন। এর বপরীতে অবৈধ যৌন সংযোগকারীকে ব্যর্থ, নিন্দিত ও সীমালঙ্ঘনকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَالَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَوَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَوَالَّذِينَ هُمْ لِلزَّكَاةِ فَاعِلُونَوَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَإِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَفَمَنِ ابْتَغَىٰ وَرَاءَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْعَادُونَ

মুমিনরাই অবশ্যই সফলকাম। যার নামাযে অত্যন্ত মনোযোগী। যারা অযথা ক্রিয়া- কলাপ থেকে বিরত। যারা যাকাত দানে অত্যন্ত সক্রিয়। যারা নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী। তবে যারা নিজ স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসীদের সঙ্গে যৌনকর্ম সম্পাদন করে তারা অবশ্যই নিন্দিত নয়। এ ছাড়া অন্য পন্থায় যৌনক্রিয়া সম্পাদনকারী অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী। (মু’মিনঃ ১-৭)

আল্লাহ তা’আলা কুরআন মাজীদে ব্যাপকভাবে মানব জাতির নিন্দা করেছেন। তবে যারা নিন্দিত নয় তাদের মধ্যে যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী অন্যতম।

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَإِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَفَمَنِ ابْتَغَىٰ وَرَاءَ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْعَادُونَ

আর যারা নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী। তবে যারা নিজ স্ত্রী ও অধিকার ভূক্ত দাসীদের সঙ্গে যৌনাঙ্গ সম্পাদন করে তারা অবশ্যই নিন্দিত নয়। এ ছাড়া অন্যান্য পন্থায় যৌনক্রিয়া সম্পাদনকারীরা অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারী(মা’আরিজঃ ২৯-৩১)

রাসূল (ছাঃ) যৌনাঙ্গ হিফাযতকারীকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। আবদু্ল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ

রাসূল ( ছাঃ ) ইরশাদ করেনঃ

হে কুরাইশ যুবকরা! তোমরা নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযত করো। কখনো ব্যাভিচার করো না। জেনে রাখো, যে ব্যাক্তি নিজ যৌনাঙ্গ হিফাযত করতে পেরেছে তার জন্যই তো জন্নাত। ( সা’হীহুত তারগীবি ওয়াত তারহীবি, হাদীস ২৪১০)

সাহল বিন সা’আদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল (ছাঃ) ইরশাদ করেনঃ

যে ব্যক্তি উভয় চোয়ালের মধ্যভাগ তথা জিহব্বা এবং উভয় পায়ের মধ্যভাগ তথা লজ্জাস্থান হিফাযত করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহণ করবো (বুখারীঃ ৬৪৭৪)

আল্লাহ তা’আলা শুধু যৌনকর্মকেই হারাম করেননি। বরং তিনি এরই পাশাপাশি সব ধরনের অশ্লীলতাকেও হারাম করেছেন। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

قُلْ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ الْفَوَاحِشَ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ وَالْإِثْمَ وَالْبَغْيَ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَأَن تُشْرِكُوا بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ سُلْطَانًا وَأَن تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ

( হে মুহাম্মাদ) তুমি ঘোষনা করে দাও: নিশ্চই আমার প্রভু হারাম করে দিয়েছেন প্রকাশ্য- অপ্রকাশ্য সকল ধরনের অশ্লীলতা, পাপকর্ম, অন্যায় বিদ্রোহ, আল্লাহ তাআলার সাথে কাউকে শরীক করা; যে ব্যাপারে তিনি কোন দলীল প্রমান অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে অজ্ঞতাবশত কিছু বলা ( আ’রাফঃ ৩৩)

আল্লাহ তা’আলা যখন ব্যভিচারকর্মকে নিষেধ করে দিয়েছেন তখন তিনি সে সকল পথকেও নীতিগতভাবে রোধ করে দিয়েছেন যেগুলোর মাধ্যমে স্বভাবত: ব্যভিচারকর্ম সংঘটিত হয়ে থাকে। এজন্যই আল্লাহ তা’আলা পুরুষ ও মহিলা উভয় জাতিকে লজ্জাস্থান হিফাতের পূর্বে সর্বপ্রথম নিজ দৃষ্টিকে সংযত করতে আদেশ করেন। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَوَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ

( হে মুহাম্মাদ ) তুমি মুমিনদেরকে বলে দাও: যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থান হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য পবিত্র থাকার সর্বোত্তম মাধ্যম। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের কর্ম সম্পর্কে অধিক অবগত। তেমনিভাবে তুমি মুমিন মহিলাদেরকেও বলে দাও: যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে(নুরঃ ৩০-৩১)

আল্লাহ তা’আলা আরো বলেনঃ

يَعْلَمُ خَائِنَةَ الْأَعْيُنِ وَمَا تُخْفِي الصُّدُورُ

িনিই চক্ষুর অপব্যবহার এবং অন্তরের গোপন বস্তু সম্পর্কেও অবগত”। (মু’মিনঃ ১৯)

আল্লাহ তা’আলা কাউকে অন্য কারোর ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। যাতে চক্ষুর অপব্যবহার না হয় এবং তা সম্পূর্নরুপে রক্ষা পায়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤْذَنَ لَكُمْ ۖ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا ۖ هُوَ أَزْكَىٰ لَكُمْ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ وَتُسَلِّمُوا عَلَىٰ أَهْلِهَا ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ

হে ঈমানদারগণ তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্য কারো গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না দিয়ে এবং তাদেরকে সালাম না করে প্রবেশ করো না। এটাই তো তোমাদের জন্য অনেক শ্রেয়। আশাতো তোমরা উক্ত উপদেশ গ্রহন করবে। আর যদি তোমরা উক্ত গৃহে কাউকে না পাও তা হলে তোমরা তাতে একেবারেই প্রবেশ করো না যতক্ষন না তোমাদেরকে তাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। যদি তোমাদেরকে বলা হয়: ফিরে যাও, তা হলে তোমরা ফিরে যাবে। এটাই তো তোমাদের জন্য পবিত্র থাকার সর্বোত্তম মাধ্যম। আল্লাহ তাআলা তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বিশেষভাবে অবগত (নুরঃ ২৭-২৮)

আল্লাহ তা’আলা বিশেষভাবে মহিলাদেরকে অপর পুরুষ থেকে পর্দা করতে আদেশ করেছেন। যাতে পুরুষের লোভাতুর দৃষ্টি তার অপূর্ব সৌন্দর্যের উগ্র আকর্ষণ থেকে রক্ষা পায় এবং ক্রমান্বয়ে সে ব্যভিচারের দিকে ধাবিত না হয়।

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ

وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

মহিলারা যেন তাদের সৌন্দর্য (শরীরের সাথে এটে থাকা অলংকার বা আকর্ষনীয় পোষাক) প্রকাশ না করে। তবে যা স্বভাবতই প্রকাশ পেয়ে যায় (বোরকা, চাদরম মোজা ইত্যাদি) তা প্রকাশ পেলে কোন অসুবিধে নেই। তাদের ঘাড়, গলা ও বক্ষদেশ (চেহারা সহ) যেন মাথার ওড়না দিয়ে আবৃত রাখে। তারা যেন তাদের স্বমী, পিতা, শ্বশুর, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইপো, বোনপো, স্বজাতীয় মহিলা, মালিকানাধীন দাস, যৌন কামনা রহিত অধীন পুরুষ, নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্য কারো নিকট নিজ সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তেমনিভাবে তারা যেন সজোরে ভূমিতে নিজ পদযুগল ক্ষেপণ না করে। কারণ, তাতে করে তাদের আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য প্রকাশ পাবে। বরং হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহ তাআলার দিকে প্রত্যাবর্তন করো। তখনই তোমরা সফলকাম হতে পারবেই (নুরঃ ৩১)

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button