বোনদের জন্য

জান্নাতী রমণী- ২য় পর্ব

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেনা

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অতি দয়ালু।

জান্নাতী রমনী, (বই থেকে সংগৃহীত)

স্বামীর সংসারে মুসলিম নারী নিম্ন লিখিত বিষয়ে সতর্ক থাকবেঃ

নীচে এমন কিছু বিষয় উল্লেখ করা হল যা থেকে বেঁচে থাকা ও দূরে থাকা মসুলিম নারীর উপর অপরিহার্য। এ সমস্ত বিষয় মুসলিম রমণীর জান্নাতে প্রবেশের জন্য বাধা স্বরূপঃ

1)স্বামীর অবাধ্য হওয়াঃ

জাবের বিন আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,ঈদের দিন আমি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে নামায আদায় করলাম। তিনি খুতবা দেয়ার পূর্বে আযান ও ইকামত ছাড়াই নামায পড়ালেন। অতঃপর বেলাল (রাঃ)কে সাথে নিয়ে দন্ডায়মান হলেন। খুতবায় তিনি মানুষকে আল্লাহর ভয় দেখালেন,তাঁর আনুগত্যের নির্দেশ প্রদান করলেন,মানুষকে নসীহত করলেন,নেক কাজের উপদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করলেন। এরপর সেখান থেকে উঠে নারীদের নিকট আগমণ করলেন এবং তাদেরকেও নসীহত করলেন ও সৎ কাজের নির্দেশ দিলেন। তারপর বললেন,

 

]تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ فَقَامَتِ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْ فَقَالَتْ لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لأَنَّكُنَّ تُكْثِرْنَ الشَّكَاةَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ قَالَ فَجَعَلْنَ يَتَصَدَّقْنَ مِنْ حُلِيِّهِنَّ يُلْقِينَ فِي ثَوْبِ بِلالٍ مِنْ أَقْرِطَتِهِنَّ وَخَوَاتِمِهِنَّ[

“ওহে রমণীগণ! তোমরা বেশী বেশী দান-সাদকা কর। অধিকহারে তওবা ইস্তেগফার কর। কেননা নারীরাই অধিকহারে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তখন মহিলাদের মধ্যে থেকে উত্তম হিসেবে বিবেচিত একজন নারী দাঁড়িয়ে পড়ল- কষ্ট-ক্লেশের কারণে যার উভয় গন্ডের রং বদলে গিয়েছিল। সে বলল,হে আল্লাহর রাসূল! এর কারণ কি?নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন,কারণ তোমরা স্বামীর নাফরমানী কর বেশী,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কর বেশী। তখন নারীরা নিজেদের গহনা খুলে সাদকা দিতে লাগলেন। কানের দুল,হাতের আংটি প্রভৃতি খুলে খুলে বেলাল (রাঃ)এর কাপড়ে ফেলতে লাগলেন।[24]

2)স্বামীকে রাগম্বিত করাঃ

আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

 

]ثَلاثَةٌ لا تُجَاوِزُ صَلاتُهُمْ آذَانَهُمُ الْعَبْدُ الآبِقُ حَتَّى يَرْجِعَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَإِمَامُ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ[

“তিন ব্যক্তির নামায তাদের কানের উপরে উঠে না (অর্থাৎ কবূল হয় না)ঃ

ক) পলাতক ক্রিতদাস যে নিজের মালিকের নিকট থেকে পলায়ন করেছে। যতক্ষণ সে ফিরে না আসবে তার নামায কবূল হবে না।

খ) সেই নারী যে স্বামীকে রাগম্বিত রেখে রাত কাটায়।

গ) সেই ইমাম লোকেরা যার ইমামতি পসন্দ করে না।”[25]

3)স্বামীকে কষ্ট দেয়াঃ

মুআ’য বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

 

]لا تُؤْذِي امْرَأَةٌ زَوْجَهَا فِي الدُّنْيَا إِلا قَالَتْ زَوْجَتُهُ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ لا تُؤْذِيهِ قَاتَلَكِ اللَّهُ فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكَ دَخِيلٌ يُوشِكُ أَنْ يُفَارِقَكِ إِلَيْنَا[

“কোন নারী যখন দুনিয়াতে তার স্বামীকে কষ্ট দেয়,তখন জান্নাতে তার হুরেঈন স্ত্রী বলতে থাকেন,আল্লাহ তোমাকে ধ্বংস করুন! ওঁেক কষ্ট দিও না। উনি তো তোমার কাছে কয়েক দিনের মেহমান। অচিরেই তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে (জান্নাতে) আগমণ করবেন।”[26]

এ হাদীছে স্বামীকে অসন্তুষ্ট করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এজন্য যে,নেককার স্বামী দুনিয়ার স্ত্রীর কাছে কিছু দিনের জন্য অতিথি স্বরূপ|তার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট। তাছাড়া স্বামীকে দুঃখ দিলে জান্নাতে তার হুরেঈন স্ত্রীগণ উক্ত দুনিয়ার স্ত্রীর জন্য বদদু’আ করে।

4)¯^vgxiঅনুগ্রহের A¯^xKviকরাঃ

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেনঃ “কিয়ামত দিবসে আল্লাহ ঐ নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না যে নিজ ¯^vgxiকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। অথচ ¯^vgxথেকে সে ¯^qsসম্পূর্ণ হতেই পারে না।”[27]

অন্য এক হাদীছে বর্ণিত হয়েছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

 

]وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ مَنْظَرًا قَطُّ وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ قَالُوا بِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ بِكُفْرِهِنَّ قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللَّهِ قَالَ بِكُفْرِ الْعَشِيرِ وَبِكُفْرِ الإِحْسَانِ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ[

“আমি জাহান্নাম দেখেছি কিন্তু আজকের মত ভয়ানক অবস্থায় কখনো দেখিনি। জাহান্নামের মধ্যে আমি নারীদেরকেই অধিকহারে দেখেছি।লোকেরা প্রশ্ন করলঃ নারীদের বেশীর ভাগ জাহান্নামে যাওয়ার কারণ কি?তিনি বললেনঃ তাদের কুফরীর (নাফরমানীর) কারণে।তারা আরয করলঃ নারীরা কি আল্লাহর সাথে কুফরী করে?তিনি বললেনঃ তারা ¯^vgxiসাথে কুফরী করে। অর্থাৎ তার অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতা না করে তা A¯^xKviকরার কারণে অধিকহারে জাহান্নামে যায়। তুমি দেখবে তাদের কারো সাথে সারা জীবন করুণা ও অনুগ্রহের আচরণ করার পর যদি সে তোমার নিকট সামান্য কোন ত্রুটি দেখতে পায়,তাহলে বলে ফেলবে,আপনার নিকট থেকে কখনো কোন উপকার পেলাম না।”[28](আপনার সংসারে আসার পর থেকে দুঃখেই আমার দিন যাচ্ছে।)

5)বিনা কারণে ¯^vgxiনিকট তালাক চাওয়াঃ

ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

 

]أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا الطَّلاقَ فِي غَيْرِ مَا بَأْسٍ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْجَنَّةِ[

“যে নারী কোনরূপ অসুবিধা ছাড়াই বিনা কারণে ¯^vgxiনিকট তালাক চায়,তার জন্য জান্নাতের সুঘ্রাণ হারাম।”[29]

কিন্তু এই তালাক চাওয়া যদি কোন শরঈ কারণে হয়,যেমন ¯^vgxযথাযথভাবে স্ত্রীর হক আদায় করে না,তার ভরণ-পোষণে শীথিলতা করে অথবা ¯^vgxশরীয়ত বহির্ভূত চলাফেরা করে,তবে তালাক চাওয়াতে কোন দোষ নেই। কিন্তু আাফসোস বর্তমান সমাজ সম্পূর্ণ বিপরীত। এমন অনেক নারী এমন আছে,যারা ¯^vgxiকাছে অন্যায় আবদার করে। আর ¯^vgxতা পূরণ করতে A¯^xKviকরলে বা ব্যর্থ হলে বলে আমাকে তালাক দিয়ে দাও। যেমন দাবী করে বাড়িতে টেলিভিশনের ব্যবস্থা করতে হবে,গান-বাদ্যের জন্য ওডিও-ভিডিও রাখতে হবে। সিনেমা,পার্টি ও ক্লাবে নিয়ে যেতে হবে। বল্গাহীন বেপর্দা চলাফেরা করার ¯^vaxbZvদিতে হবে… ইত্যাদি।

6)¯^vgxiউপস্থিতিতে তার বিনা অনুমতিতে নফল রোযা রাখাঃ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

Ò¯^vgxউপস্থিত থাকলে নারী তার অনুমতি ছাড়া যেন (নফল) রোযা না রাখে।”[30]

সন্দেহ নেই যে ¯^vgxগৃহে থাকলে স্ত্রী যদি রোযা রাখে তবে তাকে তার হক থেকে বঞ্চিত করা হবে। যা তাকে ফিতনা বা অসৎ পথে হাঁটার রাস্তা সুগম করে দিবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে,এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে নফল রোযা। কেননা ফরয রোযা আল্লাহর হক। আর ¯^vgxiহক পূর্ণ করার আগে আল্লাহর হক পূরা করা অতি আবশ্যক।

7)সহবাস থেকে ¯^vgx‡Kবাধা দেয়াঃ

নারী জাতির সৃষ্টি পুরুষকে উপলক্ষ্য করে হয়েছে। পুরুষের প্রশান্তি ও আনন্দের মাধ্যম হচ্ছে নারী। বিবাহ নামক পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পর পরস্পরের আপন হয়। একজন নারী স্ত্রী হিসেবে ¯^vgxiযাবতীয় আভ্যন্তরীন প্রয়োজন পূরণ করবে,তার গৃহের দেখাশোনা,সন্তানদের লালন-পালন ও সংসারের পরিপাটিতে নিজেকে ব্যস্ত রাখবে। সেই স্ত্রী ¯^vgxiহৃদয় বাগের ফুল হিসেবে তাকে খোশবু দিবে,ভালবাসার বন্ধনে তাঁকে সঁপে দিবে নিজের দেহ মন। ফলে ভরে উঠবে তাদের দাম্পত্য জীবন ¯^Mx©qসুখের অমৃত সুধায়।দাম্পত্য জীবনের সুন্দর এই সম্পর্কের কথা মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করে এরশাদ করেনঃ

 

]وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ[

“আর তাঁর নিদর্শন সমূহের মধ্যে একটি এই যে,তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য হতে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন। যাতে করে তোমরা তাদের নিকটে শন্তি লাভ কর। আর তোমাদের উভয়ের মাঝে সৃষ্টি করেছেন ভালবাসা ও সহানুভুতি। এতে রয়েছে নিদর্শন সেই লোকদের জন্য যারা চিন্তা করে থাকে।”[31]

কিন্তু তারপরও কোন নারী যদি নিজের সৌন্দর্যের অহংকারে,বাপ-দাদা ও ধন-সম্পদের অহমিকায় ¯^vgxiসাথে অসদাচরণ করে,আঙ্গুলের দোলায় তাকে চালাতে চায়- এমনকি ¯^vgx‡Kশরীরিক অধিকার থেকে বাধা দেয় ও বঞ্চিত রাখে। এ নারী সৃষ্টি কুলের মধ্যে নিকৃষ্ট ও অভিশপ্ত। যেমনটি হাদীছে সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে।আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا الْمَلائِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ[

“কোন ব্যক্তি যদি স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে,কিন্তু স্ত্রী তার আহবান প্রত্যাখ্যান করে,অতঃপর ¯^vgx ivMw¤^Zঅবস্থায় রাত কাটায় তবে,প্রভাত হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতাগণ সে স্ত্রীকে অভিশাপ দেয়।”[32]

উক্ত হাদীছের সমর্থনে ত্বলক বিন আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন,নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

 

]إِذَا الرَّجُلُ دَعَا زَوْجَتَهُ لِحَاجَتِهِ فَلْتَأْتِهِ وَإِنْ كَانَتْ عَلَى التَّنُّورِ[

Ò¯^vgxযদি প্রয়োজন পূরণের (সহবাসের) জন্য স্ত্রীকে আহবান করে,তবে সে যেন তাৎক্ষণিক তার ডাকে সাড়া দেয়;যদিও সে চুলার কাছে বসে থাকে না কেন।”[33]

অন্য এক বর্ণনায় বলা হয়েছে,আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

 

]وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُو امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلا كَانَ الَّذِي فِي السَّمَاءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا[

“শপথ সেই সত্বার যার হাতে আমার প্রাণ,কোন ব্যক্তি যদি স্ত্রীকে বিছানায় (সহবাসের জন্য) আহবান করে আর সে উহা প্রত্যাখ্যান করে,তবে আকাশের অধিপতি আল্লাহ্‌ তা’আলা ততক্ষণ পর্যন্ত তার উপর অসন্তুষ্ট থাকবেন যে পর্যন্ত ¯^vgxতার উপর সন্তুষ্ট না হয়।”[34]

8)¯^vgx-¯¿xiগোপন কথা অন্যের কাছে ফাঁস করাঃ

এটি সমাজের একটি ভয়ানক ব্যধি। জ্ঞানের ¯^íZvও লজ্জহীনতার কারণে অনেক নারী,অনেক পুরুষ পরস্পর সহবাসের বিবরণ অন্যের কাছে বর্ণনা করে থাকে।আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

 

]لَعَلَّ رَجُلا يَقُولُ مَا يَفْعَلُ بِأَهْلِهِ وَلَعَلَّ امْرَأَةً تُخْبِرُ بِمَا فَعَلَتْ مَعَ زَوْجِهَا فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقُلْتُ إِي وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُنَّ لَيَقُلْنَ وَإِنَّهُمْ لَيَفْعَلُونَ قَالَ فَلا تَفْعَلُوا فَإِنَّمَا ذَلِكَ مِثْلُ الشَّيْطَانِ لَقِيَ شَيْطَانَةً فِي طَرِيقٍ فَغَشِيَهَا وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ[

“সম্ভবতঃ ¯^vgxনিজের স্ত্রীর সাথে কিছু করে উহা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। সম্ভবতঃ স্ত্রী নিজ ¯^vgxiসাথে যা কিছু করে তা অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়!?একথা শুনে লোকেরা চুপ থাকল,কেউ জবাব দিল না। আমি বললাম,আল্লাহর শপথ হে আল্লাহর রাসূল! নারীরা এরূপ করে থাকে এবং পুরুষরাও এরূপ করে থাকে।তিনি বললেন,তোমরা এরূপ করো না। কারণ এটা শয়তানী ব্যবহার। এদের উদাহরণ হচ্ছে সেই শয়তানের মত যে রাস্তার ধারে নিজ শয়তানী স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে অতঃপর সেখানেই তার সথে সহবাসে লিপ্ত হয়। আর লোকেরা তাদেরকে দেখতে থাকে।”[35]

অন্য বর্ণনায় আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন,রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

 

]إِنَّ مِنْ أَعْظَمِ الأَمَانَةِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِي إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِي إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا[

“নিশ্চয় ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহর নিকট অন্যতম বড় আমানত হচ্ছে,¯^vgx-¯¿xiগোপন বিষয়। এক ব্যক্তি ¯^xqস্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় অতঃপর তার গোপন কর্মের বিবরণ প্রকাশ করে দেয়।”[36]

অপর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট হচ্ছে সেই লোক,যে নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হয় অতঃপর তার গোপন কর্মের বিবরণ মানুষের কাছে প্রকাশ করে দেয়।”[37]

9)¯^vgxiগৃহ ছাড়া অন্যের বাড়ীতে নিজের কাপড় খোলাঃ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

 

]مَا مِنِ امْرَأَةٍ تَضَعُ ثِيَابَهَا فِي غَيْرِ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلَّا هَتَكَتِ السِّتْرَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ رَبِّهَا[

“যে নারী নিজ ¯^vgxiবাড়ী ব্যতীত অন্য কারো বাড়ীতে গিয়ে নিজের কাপড় খোলে,তবে আল্লাহ তার লজ্জার পর্দাকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।”[38]

অর্থাৎ- যে নারী অন্য গৃহে গিয়ে পরপুরুষের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তার চাইতে অসভ্য,বেহায়া ও খরাপ কোন নারী নেই। অনেক এমন নারী আছে যারা হয়তো রাস্তায় চলাফেরাতে পর্দা বজায় রাখে কিন্তু উদ্দেশিত স্থানে পৌঁছে গেলে পর্দার ধারধারে না এসব নারীও এই হাদীছের আওতাভূক্ত হবে।

10)¯^vgxiবিনা অনুমতিতে কাউকে তার বাড়ীতে প্রবেশ করানোঃ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,Ò¯^vgxiউপস্থিতিতে তার অনুমতি ব্যতিরেকে কোন স্ত্রীর নফল রোযা রাখা বৈধ নয়।¯^vgxiঅনুমতি ব্যতীত কাউকে তার বাড়ীতে প্রবেশ করতে দিবে না।¯^vgxiবিনা অনুমতিতে কিছু খরচ করলে তার অর্ধেক ছওয়াব ¯^vgx‡KIদেয়া হবে।”[39]

11) ¯^vgxiঅনুমতি না নিয়ে তার গৃহ থেকে বাইরে যাওয়াঃ

নারীর প্রাসাদ ও তাজমহল হচ্ছে তার ¯^vgxগৃহ- যেখানে সে দাম্পত্য সংসার অতিবাহিত করবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া গৃহ থেকে বের হবে না। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন,

“তোমরা নিজেদের গৃহেই অবস্থান কর।”[40]

এই আয়াতের তাফসীরে ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন,নারী ¯^vgxগৃহেই অবস্থান করবে বিনা প্রয়োজনে গৃহ থেকে বের হবে না। যেহেতু ¯^vgxiআনুগত্য করা নারীর জন্য ওয়াজিব তাই তার গৃহ থেকে তার অনুমতি বেতিরেকে বাইরে যাওয়া জায়েয নয়।[41]

12)আল্লাহর অবাধ্য হয়ে ¯^vgxiআনুগত্য করাঃ

যদিও ¯^vgxiআনুগত্য করা নারীর উপর ওয়াজিব ও তার নাফরমানী করা হারাম। কিন্তু এই আনুগত্য হতে হবে সুমহান স্রষ্টা আল্লাহ ও তাঁর হাবীব সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আনুগত্যের পরে,তাঁদের আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়ন করার পরে।¯^vgxযদি এমন বিষয়ে আদেশ করে যাতে রয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী তবে তা শোনা যাবে না তা মানা যাবে না তার আনুগত্য করা যাবে না। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

 

]لا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ[

“আল্লাহর নাফরমানী করে সৃষ্টির কারো আনুগত্য করা যাবে না।”[42]

আল্লাহকে নাখোশ রেখে পৃথিবীর কোন মানুষকে খুশি করা যাবে না। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীছে এরশাদ করেছেনঃ

 

]مَنِ الْتَمَسَ رِضَا اللَّهِ بِسَخَطِ النَّاسِ كَفَاهُ اللَّهُ مُؤْنَةَ النَّاسِ وَمَنِ الْتَمَسَ رِضَا النَّاسِ بِسَخَطِ اللَّهِ وَكَلَهُ اللَّهُ إِلَى النَّاسِ[

“যে ব্যক্তি আল্লাহকে নাখোশ করে মানুষকে খুশি করবে আল্লাহ তার প্রতি নাখোশ হবেন এবং মানুষকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষের অসন্তুষ্টি সত্বেও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হবেন এবং মানুষকেও তার উপর খুশি করে দিবেন।”[43]

সুতরাং ¯^vgxযদি স্ত্রীকে বেপর্দা,নামাযে অলসতা,আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন প্রভৃতি আল্লাহকে নাখোশকারী কাজের আদেশ দেয়,তবে তার আদেশ শোনা যাবে না মানা যাবে না। অনুরূপভাবে স্ত্রীও যদি এধরণের অশ্লীলতা ও গর্হিত বিষয়ে ¯^vgx‡Kপরামর্শ প্রদান করে তবে তার পরামর্শ গ্রহণ করা চলবে না।

¯^vgxiখেদমতঃ

সম্মানিত মুসলিম বোন! নিম্নে আল্লাহর নবীর মহিলা ছাহাবীদের অসংখ্য কাহিনী থেকে জনৈক নারীর ঘটনা বর্ণনা করছি। বুদ্ধিমানের জন্য ইঙ্গিতই যথেষ্ট। কিভাবে তাঁরা ¯^vgxiখেদমত করতেন তার এক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হচ্ছে।আবু বকর (রাঃ) সম্পর্কে কেই বা না জানে। তাঁর কলিজার টুকরা কন্যা আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,যুবাইর (রাঃ) আমাকে যখন বিবাহ করেন,তখন তাঁর কোন জায়গা-যমিন ছিল না,কোন দাস-দাসী ছিল না কিছুই ছিল না। শুধুমাত্র একটি ঘোড়া ছিল।আসমা বলেন,আমিই ঘোড়টিকে দানা-পানি খাওয়াতাম,ঘাস ও খড়ের যোগান দিতাম। ঘোড়ার জন্য খেজুরের আঁটি কুটে তার খাদ্যে মিশাতাম তথা সার্বক্ষণিক তাকে খাওয়াতাম ও পানি পান করাতাম। তাঁর জন্য আটা খামির করতাম। কিন্তু আমি তখন ভালভাবে রুটি বানাতে জানতাম না। আমার কিছু পড়শী আনছারী মহিলা ছিলেন তাঁরাই আমাকে রুটি বানিয়ে দিতেন। ওরা খুবই ভাল মহিলা ছিলেন।তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুবাইরকে যে যমীন দিয়েছিলেন সেখান থেকে আমি খেজুরের বিচির বোঝা নিজের মাথায় নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ী আসতাম। ঐ স্থানটি আমাদের বাড়ী থেকে দু’মাইল দূরে ছিল।[44]

রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,“নারী যদি জানতো ¯^vgxiকি হক,তবে ¯^vgxiদুপুরের খানা বা রাতের খানা উপস্থিত হলে খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে বসতো না। দাঁড়িয়েই থাকতো।”[45]

নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর আদরের দুলালী জান্নাতের সর্দারীনী ফাতেমা (রাঃ) তাঁর ¯^vgxআলী (আঃ)এর খেদমত করতেন। খাদেম বা দাসী ছাড়াই ¯^vgxiগৃহের যাবতীয় কাজ নিজ হাতে সম্পাদন করতেন। আটা পিষতে গিয়ে যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে হাতে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল। কলসি কাঁখে পানি আনতে আনতে কোমরে দাগ পড়ে গিয়েছিল। বাড়ি-ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে করতে পরনের কাপড় ধুলামলিন হয়ে গিয়েছিল। রান্না-বান্না করতে করতে কাপড় কালো হয়ে গিয়েছিল। একবার যুদ্ধে বন্দী কিছু দাসী মদীনায় এলে তা থেকে একটি দাসী চাইতে ফাতেমা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে গেলেন। কিন্তু তাঁকে পেলেন না। আয়েশা (রাঃ) এর কাছে আগমণের উদ্দেশ্য বলে ফিরে গেলেন। আয়েশা (আঃ) এর মুখে নবীজী তাঁর আদরের দুলালীর আগমনের কথা শুনে নিজেই তার সাথে দেখা করতে বের হলেন। গিয়ে দেখেন তাঁরা শুয়ে পড়েছেন। নবীজীর আগমনে তারা উঠে বসতে চাইলেন। কিন্তু তিনি বাধা দিয়ে তাদের মধ্যখানে বসে পড়লেন এবং বললেন,তোমরা যা চেয়েছো আমি কি তার চাইতে উত্তম জিনিস তোমাদেরকে দান করব না?তোমরা যখন শয্যা গ্রহণ করবে,তখন ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ্‌’পাঠ করবে,৩৩ বার ‘আল হামদুলিল্লাহ’বলবে এবং ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার’পাঠ করবে। ইহা তোমাদের জন্য একজন খাদেমের চাইতে উত্তম হবে।”[46]

মেয়ের বিবাহ দেয়ার পর জনৈক মায়ের নসীহতঃ

উমামা বিনতে হারেছ নিজ কন্যার বিবাহের সময় তাকে এমন কিছু নসীহত করেন যা শুধু মেয়ের জন্যই নয়;বরং পরবর্তী সমস্ত নারীর জন্য মাইল ফলক হিসেবে অবশিষ্ট থাকবে। তিনি মেয়েকে লক্ষ্য করে বলেন,ওহে আমার কলিজার টুকরা মেয়ে! আজ তুমি নিজের পিতা-মাতা,ভাই-বোন,AvZ¥xq-¯^Rb,বান্ধবী ও প্রতিবেশী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এমন এক অপরিচিত পরিবেশে এমন এক অপরিচিত ব্যক্তির নিকট গমণ করছো যেখানেই রয়েছে তোমার আসল ঠিকানা সেই ব্যক্তিই তোমার প্রকৃত বন্ধু সাথী ও কল্যাণকামী। তুমি ওখানের আচার-আচরণ ও পরিবেশ সম্পর্কে মোটেও অবগত নও। তুমি যদি ¯^vgxiদাসী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পার,তবে দেখবে সেও তোমার দাসে পরিণত হয়েছে। এই মূহুর্তে আমি তোমাকে কতিপয় নসীহত করছি। আল্লাহ চাহে তো এগুলো তোমার জীবনের সাফল্য ও সুখি দাম্পত্য জীবনের জন্য পাথেয় হবে।

1)¯^vgxiপ্রতি বিনীত থাকবে এবং অল্পতেই তার উপর সন্তুষ্ট হবে।

2)ভালভাবে তার কথা শুনবে ও মানবে।

3)-৪) তার চোখ ও নাকের পসন্দের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। তোমাকে যেন কখনো খারাপ দৃশ্যে সে না দেখে এবং তোমার নিকট থেকে কখনো যেন সর্বোত্তম সুগন্ধি ছাড়া অন্য কিছু না পায়।

৫)-৬) তার খাওয়া দাওয়া ও নিদ্রার বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখবে। কেননা ক্ষুধা ও অনিদ্রা মানুষকে বদমেজাজী ও †µvavw¤^Zকরে তোলে।

৭) তার ধন-সম্পদের রক্ষণা-বেক্ষণ করবে। হিসাবের সাথে পরিমাণমত তার সম্পদ খরচ করবে।

৮) তার পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীর দেখাশোনা করবে। উত্তমভাবে মনযোগসহকারে তার সন্তান-সন্তুতিকে লালন-পালন করবে।

৯) তার কোন গোপন বিষয় ফাঁস করবে না ও তার নাফরমানী করবে না। কেননা তার গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলে একদিন সে তোমাকে ধোঁকা দিবে। অবাধ্য হলে তার বুকে আগুন জ্বালাবে তাকে †µvavw¤^Zকরবে।

১০) তুমি কাঙ্খিত লক্ষ্যে কখনই পৌঁছতে পারবে না যে পর্যন্ত তার সন্তুষ্টিকে নিজের সন্তুষ্টির উপর স্থান না দিবে,তার পছন্দ-অপছন্দকে নিজের পছন্দ-অপছন্দের উপর স্থান না দিবে।[47]

স্বামীর প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধির জন্য স্ত্রীকে কতিপয় উপদেশঃ

শায়খ ইবনু জুবাইলান স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে কিছু নসীহত করেছেন। তা নিম্নরূপঃ

1)বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে কপালে চুম্বন করা।

2) স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস্তু থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।

3) সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা। সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা।

4)স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন)। রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।

5)সর্বদা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা।

6)স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া। মাসিক ঋতুর সময়ও সুসজ্জিত অবস্থায় থাকা।

7)স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দর্য তার নম্র কন্ঠে।

8)সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা।

9)নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা,ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ করবে না।[48]

10)সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।

11)কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা কুরআনে আল্লাহ্‌ বলেন,

ولا تجسسوا

তোমরাকারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না।” (সূরা হুজুরাত -১৩)
নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।”[49]

12)স্বামী কখনো রাগম্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। সম্ভব হলে তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে নাহক রেগে থাকে তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে সমঝোতার ব্যবস্থা করা।

13)স্বামীর মাতাকে নিজের পক্ষ থেকে (সাধ্যানুযায়ী) কিছু হাদিয়া-উপহার প্রদান করা।

14)সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব অনটনের সময় তাকে সহযোগিতা করা।
উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আমি বললাম,হে আল্লাহর রাসূল! (আমার স্বামী) আবু সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান পাব। ওদেরকে তো এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। ওরা তো আমারও সন্তান। তিনি বললেন,হ্যাঁ,তুমি যে পরিমাণ তাদের জন্য সম্পদ খরচ করবে,তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)

15)স্বামীর নির্দেশ পালন,তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করা

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button