বইঃ আপনি জানেন কি প্রচলিত নামায এবং রসূল (ছাঃ) এর নামাযে পার্থক্য কতটুকু?
প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
খলীলুর রহমান বিন ফজলুর রহমান (রঃ)
ভূমিকাঃ আজকের দিনে আমরা মুসলিম বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই অনেক মানুষই আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) এর একই পদ্ধতিতে শিখানো সালাত ছেড়ে দিয়ে কোন ইমাম বা অলির মনড়া মাযহাব বা ত্বরীক্বার অনুসরণ করে সালাত আদায় করছে। অথচ আল্লাহর নাবী (ছাঃ) বলেছেনঃ
“তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত পড়তে দেখো সেভাবে সালাত পড়ো”। (বুখারীঃ হা৬৩১/তাওহীদ পাবলিকেন্স।)
মক্কা এবং মাদীনায় নাবী (ছাঃ) এর দ্বারা ইসলামের গোড়া পত্তন হয়েছে এবং তিনি তথায় সঠিক অবস্থায় ইসলাম রেখে গেছেন। এ স্থানদ্বয়েই ইসলাম সঠিক অবস্থায় থাকবে। কেননা নাবী (ছাঃ) বলেছেনঃ
“ আবদুল্লাহ ইবনু উমার নাবী (ছাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন নাবী (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় ইসলাম গরীবী অবস্থায় (অল্প লোকদের দ্বারা) সূচনা হয়েছিল। শিঘ্রই আবার গরীবী অবসথায় (অল্প লোকদের মধ্যে) ফিরে যাবে, যেভাবে সূচনা মাসজিদের মাঝের লোকদের মধ্যে ফিরে যাবে। যভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে যায়”। (মুসলিম-১ম খন্ড, ৮৪ পৃঃ)
মক্কা মাদীনাকে আল্লাহ ক্বিয়ামাত পর্যন্ত হিফাযাত করবেন। সে মক্বা-মাদীনার আমাল কষ্টিপাথরে যাচাইকৃত কুরআন ও হাদীসের অকাট্য দলীল খেকে সংক্ষিপ্তভাবে নাবী (ছাঃ) এর আদায়কৃত সালাতের পদ্ধতি এই বইটিতে আলোকপাত পেশ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেন,
“ অতত্রব তোমার প্রভুর কসম সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষন না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে (হে মুহাম্মাদ (ছাঃ)) তোমাকে ন্যায় বিচারক মেনে না নেয়। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন সংরকীর্নতা না থাকে এবং সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহন করবে”। (সূরা আন নিসাঃ৫৬)
মন্তব্য করুন