কিয়ামতের ছোট আলামত
প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যানি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু।
কিয়ামতের ছোট আলামত
কিয়ামতের ছোট আলামত
মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবেঃ
নবী (ছাঃ) বলেনঃ
مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْتَكْثُرَ النِّسَاء وَيَقِلِّ الرِّجَالُ حَتَّى يَكُونَ لِخَمْسِينَ امْرَأَةً الْقَيِّمُ الْوَاحِد
“ কিয়ামতের আলামত হচ্ছে, মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে। এমনকি পঞ্চাশ জন মহিলার দেখা-শুনার জন্যে মাএ একজন পুরুষ থাকবে”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম)
এই হাদীছের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, কিয়ামতের পূর্বে ফিতনার সময় ব্যাপক যুদ্ধ হবে। যুদ্ধে যেহেতু কেবল পুরুষেরাই অংশগ্রহন করে থাকে তাই যুদ্ধে অংশগ্রহন করে পুরুষেরা অকাতরে নিহত হবে। ফলে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবেঃ
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) এই মতটিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেনঃ হাদীছের প্রকাশ্য অর্থ হলো কোন কারণ ছাড়াই শুধু কিয়ামতের আলামত হিসেবে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তা’আলা আখেরী যামানায় পুরুষের তুলনায় বেশী নরী সৃষ্টি করবেন। বর্তমানেও এ আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। কোন কোন দেশে জরিপ করে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা অনেক বেশী। ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। মোটকথা স্বভাবগত ও যুদ্ধ উভয় কারণে পুরুষের সংখ্যা কমতে পারে।
জেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবেঃ
আল্লাহ তা’আলা এবং তদীয় রাসূল (ছাঃ) ব্যভিচার হারাম করেছেন। ইহা হারাম হওয়া অতি সু্স্পষ্ট বিষয়। এমন কোন মুসলিম নারী-পুরুষ পাওয়া যাবেনা যে এর হারাম হওয়া সম্পর্কে অবগত নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا ۖ إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
“আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়োনা। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং খুবই মন্দ পথ”।(সূরা বানী ইসরাঈলঃ ৩২)
ব্যভিচারের ইহকালীন শাস্তি হলো বিবাহিত হলে রজম করা তথা পাথর মেরে হত্যা করা। আর অবিবাহিত হলে একশত বেত্রা আঘাত করা। সহীহ বুখারীতে সামুরা বিন জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (রাঃ) এর স্বপ্নের দীর্ঘ হাদীছে কবরে ব্যভিচারীর ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা এসেছে। তিনি বলেনঃ
فَأَتَيْنَا علَى مِثْلِ التَّنُّورِ قِالَ فَأَحْسِبُ أَنَّهُ كَنَ يَقُو لُ فَإِذَا فِيهِ لَغَطٌ وَأَصْوَاتٌفَالَ فَاطَّلَعْنَا فِيهِ فَإِذَا فَيهِ رِجَالٌ وانِسَاءٌ عُرَاةٌ وَإِذَا هُمْ يَأْتِيهِمْ لَهَبٌ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ فَئِذَا عاطاَ هُمْ ذَلِكَالَّهَبُ ضَوْ ضَوْا
“ আমরা একটি তন্দুর চুলার নিকট আগমণ করলাম। যার উপরিভাগ ছিল সংকীর্ণ এবং ভিতরের অংশ ছিল প্রশস্ত। তার ভিতরে আমরা কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। দেখতে পেলাম, তাতে রয়েছে কতগুলো উলঙ্গ নারী-পুরুষ। তাদের নিচের দিক থেকেই আগুনের শিখা প্রজ্বলিত করা হচ্ছে। অগ্নিশিখা প্রজ্বিত হওয়ার সাথে সাথে তারা উচ্চঃস্বরে চিৎকার করছে। রাসূল (ছাঃ) কারণ জানতে চাইলে ফেরেশতাদ্বয় বললেনঃ এরা হলো আপনার উম্মাতের ব্যভিচারী নারী পুরুষ”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত তা’বীর)
কিয়ামতের পূর্বে উম্মতে মুহাম্মাদীর মধ্যে এই পাপের কাজটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। নবী (ছাঃ) বলেনঃ
إِنَّ مِنْأَشْرَاطِ السَّاعاةِ أَنْ يُرْفَعَ الْعِلْمُ وَيَثْبُتَ الْجَهْلُ وَيُشْرَبَ الْخمْرُ وَيَظْهَرَ الزِّنَا
“ নিশ্চয় কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে এবং মানুষের মাঝে অজ্ঞতা বিস্তার লাভ করবে, মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে এবং মুসলমানেরা ব্যভিচারে লিপ্ত হবে”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম)
তিনি আরো বলেনঃ
“ আমার উম্মাতের একটি দল জেনাকে হালাল মনে করবে”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আশরিবা)
আখেরী যামানায় ভাল লোকগণ চলে যাওয়ার পর শুধুমাএ দুষ্ট লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের সামনে গাধার ন্যায় ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। তাদের উপরে কিয়ামত প্রতিষ্ঠত হবে। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)
ইমাম কুরতুবী বলেনঃ এ হাদীছে নবুওয়াতের অন্যতম প্রমাণ রয়েছে। কারণ তাঁর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমাদের যামানায় প্রকাশ্যে ব্যভিচার সংঘটিত হচ্ছে। কিয়ামতের এই আলামতটি বর্তমান মুসলিম সমাজেও ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে, যা বিস্তারিত বলার অপেক্ষা রাখেনা। বড় পরিতাপের বিষয় এইযে, অনেক ইসলামী দেশে সরকারীভাবে ব্যভিচারের লাইসেন্স দেয়া হয়ে থাকে। এ সমস্ত মুসলিম দেশের শাসকরা রোজ কিয়ামতে আল্লাহর দরবারে কি জবাব দিবেন!!
মারামারি ও হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাবেঃ
নবী (ছাঃ ) বলেনঃ
لَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَكْثُرَ الْو الْهَرْ جُ قَالُوا وَاماَ الْهَرْ جُ يَا رَاسُولَ اللَّهِ قَالَ الْقَتْلُ
“ হারজ বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বে কিয়ামত হবেনা। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল ! হারজ কি? উত্তরে তিনি বললেনঃ হত্যা, হত্যা,”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)
নবী (ছাঃ) আরো বলেনঃ
“ ঐ আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার জীবন ততদিন দুনিয়া ধ্বংস হবেনা যতদিন না মানুষের কাছে এমন সময় আসবে যখন হত্যাকারী বুঝতে পারবেনা কেন তাকে হত্যা করা হচ্ছে। নবী (ছাঃ) কে বলা হলো তাদের অবস্থা কেমন হবে? উত্তরে তিনি বললেনঃ হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ই জাহান্নামে যাবে”। (মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)
নবী (ছাঃ) এর বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে। উছমান (রাঃ) এর হত্যার পর সাহাবীদের যুগে মুসলমানদের পরস্পরের মধ্যে যে সমস্ত যুদ্ধ হয়েছে তাতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন ইসলামী অঞ্চলে অসংখ্য যুদ্ধ হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারণ ছিল অস্পষ্ট । বর্তমানে ইসলামী দেশগুলোতে যে সমস্ত গৃহযুদ্ধ, মারামারি ও হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে তাতেও উল্লেখযোগ্য কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সামান্য কারণে একজন অন্যজনকে হত্যা করছে। মনে হচ্ছে মানুষ যেন একেবারেই মূল্যহীন।
সময় দ্রুত চলে যাবেঃ
কিয়ামতের পূর্ব মুহুর্তে সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে বলে মনে হবে। নবী (ছাঃ) বলেনঃ
لَ تَقُو مُ السَّاعَةُ حَاتَّى يَتَقَارَبَ الزَّمَانُ فَتَكُو نَ السَّنَةُ كَالشَّهْرِ وَيَكُونَ الشَّهْرُ
“ সময় ছোট হয়ে যাওয়ার পূর্বে কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা। এক বছরকে একমাসের সমান মনে হবে। এক মাসকে এক সপ্তাহের সমান মনে হবে। এক সপ্তাহকে একদিনের মত মনে হবে এবং এক দিনকেই এক ঘন্টার সমান মনে হবে”। (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজী। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস সাগীর, হাদীছ নং-৭২৯৯)
আলেমগণ সময় খাট হয়ে যাওয়ার কয়েকটি অর্থ করেছেন। (১) সময় ছোট হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো সময়ের বরকত কমে যাওয়া। আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) বলেনঃ আমাদের সময়ে এই আলামতটি প্রকাশিত হয়েছে। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। অথচ আমাদের যুগের পূর্বে এরকম মনে হতোনা। (২) কেউ কেউ বলেছেনঃ ইমাম মাহদীর যুগে এটি সংঘটিত হবে। কেননা তখন মানুষের মাঝে চরম সুখ শান্তি বিরাজ করবে। কারণ সুখ শান্তিত ও আনন্দের মুহূর্তে সময় দীর্ঘ হলেও খাট মনে হয়। আর দুঃখ-কষ্টের মুহূর্তে সময় দীর্ঘ হলেও তা অনেক লম্বা মনে হয়। (৩) কেউ কেউ বলেছেনঃ কিয়ামতের পূর্বে প্রকৃতভাবেই সময় খাট হয়ে যাবে এবং দ্রুত চলে যাবে। সে হিসেবে এই আলামতটি এখনও আসেনি। তবে কিয়ামতের পূর্বে তা অবশ্যই আগমণ করবে এবং নবী (ছাঃ) এর বাণী বাস্তবে রুপ নিবে।
সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবেঃ
মুসলমানদের উপর সুদ আদান-প্রদান করা এবং সুদের ব্যবসা হারাম করা হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً
“ হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্র বৃদ্ধি হারে সুদ গ্রহণ করোনা। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৩০)
নবী (ছাঃ) সুদখোরকে অভিশাপ করেছেন”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল লিবাস)
কিয়ামতের পূর্বে মুসলমানদের মাঝে সুদ গ্রহণ করা এবং সুদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
নবী (ছাঃ) বলেনঃ
“ আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক সময় আসবে যখন সম্পদ কামাই করার ব্যাপারে হালাল- হারামের বিবেচনা করা হবেনা”। (তাবারানী, ইমাম মুনযেরী বলেনঃ হাদীছের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত, আত তারগীব ওয়াত তারহীব(৩/৯)
তিনি আরো বলেনঃ
إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَظْهَرَ الرِّبَا
“ নিশ্চয় কিয়ামতের আলামতের মধ্যে থেকে অন্যতম আলামত হচ্ছে সুদের প্রসার লাভ করবে”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল বুয়ু)
নবী (ছাঃ) এর বানী বাস্তবে পরিণত হয়েছে। অগণিত সংখ্যক মুসলমান আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ অমান্য করে সুদের ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে এমন কোন ইসলামী দেশ পাওয়া যাবেনা যেখানে সুদী ব্যাংক নেই বা সুদের ব্যবসা নেই।
গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবেঃ
আখেরী যনমানার লোকেরা গান- বাজনা হালাল মনে করে ব্যাপকভাবে তাতে আসক্ত হয়ে পড়বে। বর্তমানে ব্যাপক আকারে এই আলামতটি দেখা দিয়েছ। মুসলমানদের ঘরে ঘরে টিভি, ডিস এন্টিনা, ইন্টারনেটসহ নানা ধরণের প্রযুক্তি ঢুকে পড়েছে। ২৪ঘন্টা এগুলোতে গান-বাজনা, উলঙ্গ, অর্ধালঙ্গ নারী পুরুষের ফাহেশা ছবি এবং ফিল্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলো মুসলমানের সন্তানদের ঈমান আকীদা ও চরিত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে যারা একাজে মত্ত হবে তাদেরকে তিন ধরণের শাস্তি দেয়া হবে।
নবী(ছাঃ) বলেনঃ
“ আখেরী যামানায় কোন কোন জাতিকেই মাটির নিচে দাবিয়ে দেয়া হবে, কোন জাতিকে উপরে উঠিয়ে নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হবে। আবার কারো চেহারা পরির্তন করে শুকর ও বানরে পরিণত করা হবে। নবী (ছাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো কখন এরুপ করা হবে? তিনি বললেনঃ “ যখন গান-বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে”। (ইবনে মাজাহ। ইমাম সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস সাগীর হাদীছ নং-২১৬)
মুসলমান গান-বাজনা ও গয়াক-গায়িকা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তাদের উপরে চেহারা বিকৃত করার শাস্তি অবশ্যই আসবে।
মদ্যপান হালাল মনে করবেঃ
إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَاةِ أَنْ يُشْرَبَ الخَمْرُ
“ নিশ্চয় কিয়ামতের আলামতের মধ্য থেকে একটি আলামত হচ্ছে মদ্যপান ছড়িয়ে পড়বে”। (বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ইলম)
মুসলমানদের মাঝে মদ্যপান ও মদের ব্যবসা ব্যাপকভাবে প্রচলিত রয়েছে। কেউ বা অন্য নাম দিয়ে কেউ বা হলাল মনে করে এতে লিপ্ত হচ্ছে। মুসলিম দেশগুলোতে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হচ্ছে। মুসলমানদের চরিত্র ও আদর্শ ধ্বংস করার জন্যে সরকারী লাইসেন্স নিয়ে এক শ্রণীর মুসলমান মদের ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। মোটকথা নবী (ছাঃ) এর বাণী নিশ্চিতরুপে বাস্তবায়িত হয়েছে।
মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবেঃ
“ যত দিন লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব না করবে ততদিন কিয়ামত হবেনা”। (মুসনাদে আহমাদ। ইমাম আলবানী সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে, হাদীছ নং-৭২৯৮।)
ইমাম বুখারী (রঃ) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করে বলেনঃ
“ লোকেরা মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে, কিন্তু ইবাদতের মাধ্যমে তা আবাদ করবেনা”।(বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুস সালাত)
মোটকথা আল্লাহর ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে মসজিদ আবাদ করতে হবে। তা বড় করে নির্মাণ করা ও চাকচিক্যময় করার মাধ্যমে নয়।
সমাপ্ত
মন্তব্য করুন