প্রবন্ধ

কতটুকু সময় পেলে নমাযের ওয়াক্ত পাওয়া যায় সে সম্পর্কে

প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময়, অসীম দয়ালু

মূলঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন অনুবাদ সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

এক রাকাআত নামায আদায় করার মত সময় পাওয়া গেলে ঐ ওয়াক্তটা পাওয়া গেছে বলে মনে করতে হবে। অর্থাৎ যদি কেউ নামাযের শেষ ওয়াক্তে এক রাকাআত নামায আদায় করার মত সময় পায়, তবে সে যেন ঐ নামাযের পূর্ণ ওয়াক্তটা পেয়ে গেল। তার প্রমাণ হচ্ছে আবু হুরাইরা রা) এর হাদীস নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন,

“যে ব্যক্তি নামাযের এক রাকা‘আত পেল সে যেন পূর্ণ নামায পেল।” (বুখারী ও মুসলিম)

অন্য বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি ফজরের নমাযের এক রাকাআত সূর্যোদয়ের পূর্বে পেল, সে যেন আসরের পূর্ণ নামায পেল। বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, যখন তোমাদের কেউ আসরের নমাযের এক সিজদা (রাকাআত) সূর্যাস্তের পূর্বে করে ফেলে, সে যেন তার নামাযকে পূর্ণ করে দেয়। এরূপ যখন সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের নামাযের একটি সিজদা (রাকাআত) পায়, সে যেন তার নামাযকে পূর্ণ করে নেয়।

উল্লেখিত বর্ণনা এটার প্রমাণ করে দেয় যে, যদি শেষ ওয়াক্তের পূর্ণ রাকআত পায়, তাহলে সে যেন পূর্ণ ওয়াক্তটা পেল। আর এও প্রমাণ করে যে, যে ব্যক্তি শেষ ওয়াক্তে এক রাকাআতের কম সময় পেল সে ঐ ওয়াক্ত পেল না।

সময় প্রাসঙ্গিক আলোচনা দু’টি:

. মোট কথা যে ব্যক্তি ওয়াক্তের মধ্যে এক রাকআত নামায পায়, তখন তার পূর্ণ নমায আদায় হয়ে যায়। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, কিছু নামায তার জন্য ওয়াক্তের পরে পড়া জায়েয হবে, কেননা, পূর্ণ নামাযটা তাকে ওয়াক্তের মধ্যে আদায় করতে হবে, ওয়াক্তের বাইরে নয়।

সহীহ মুসলিমে আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন: আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, এটা মুনাফেকের নামায যে বসে বসে সূর্যের অপেক্ষা করে, যতক্ষণ না সূর্য হলুদ বর্ণের হয় এবং শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্যখানে আসে; তখন সে উঠে তাড়াহুড়া করে চারটি ঠোকর মারে, এতে সে আল্লাহকে খুব কমই স্বরণ করে।

. এক রাকাআত নামায পড়ার সমান সময় পেলে তার উপর নামায আদায় করা ওযাজিব হবে এতে প্রথম ওয়াক্তেই হোক অথবা শেষ ওয়াক্তেই হোক।

প্রথম ওয়াক্তের উদাহরণ: সূর্যাস্তের পর এক রাকাআত কিংবা তার বেশী পরিমাণ নামাযের সময় অতিক্রান্ত হয়েছে এমতাবস্থায় কোন মহিলা ঋতুবর্তী হলে তার উপর মাগরিবের নামায ওয়াজিব হবে যদি সে নামায না পড়ে থাকে। যখন সে ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন তার উপর মাগরিবের উক্ত নমায কাযা করা ওয়াজিব হবে।

শেষ ওয়াক্তের উদাহরণ: সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রাকআত কিংবা তার বেশী পরিমান নামাযের সময় থাকাকালে কোন ঋতুবর্তী মহিলা পবিত্র হলে তার উপর ফজরের নামায আদায় করা ওয়াজিব হবে।

পক্ষান্তরে সূর্যাস্তের পর এক রাকআত নামায আদায় করার কম সময় থাকাকালে কোন মহিলা ঋতুবর্তী হলে অথবা সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রাকাআত নামায আদায় করার কম সময় থাকতে মাগরিবের নামায পড়তে হবে না, কেননা, উভয় মাসয়ালায় প্রাপ্ত সময় এক রাকাআত নমায আদায় করার সময়ের চেয়েও কম।

source. ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ।

মন্তব্য করুন

Loading Facebook Comments ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button