যাদের সাথে বিবাহ হারাম নয়, এ ধরনের নারীদের সাথে মুসাফাহা করার বিধান
প্রবন্ধটি পড়া হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না
শুরু করছি মহান আল্লাহর নামে,যিনি পরম করুনাময় অসীম দয়ালু।
অনুবাদ :জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের । সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
হে আমার প্রাণ প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা! তোমরা যারা আল্লাহর দ্বীন পালন করা ও হারাম থেকে বেঁচে থাকতে প্রবল আগ্রহী, আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন, তা পরিহার করা এবং যা করার জন্য আদেশ দিয়েছেন তা পালন করার মাধ্যমে আল্লাহ সন্তুষ্টি তালাশে ঈর্ষান্বিত, তোমাদের সামনে কয়েকটি বিশুদ্ধ হাদিস পেশ করা হচ্ছে, যেগুলো খারাপ অভ্যাস যা অধিকাংশ মূর্খ ও অজ্ঞ লোকেরা করে থাকে তা হারাম হওয়ার বিষয়টিকে স্পষ্ট করে। আর তা হল, নারীরা পুরুষের সাথে এবং পরুষরা নারীদের সাথে করমর্দন করা এবং যাদের সাথে বিবাহ বৈধ তাদের সাথে করর্মদন করার মত খারাপ অভ্যাস।
বিশিষ্ট সাহাবী উমাইমা বিনতে রকিকা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’ বলেন, যখন তার সঙ্গীনীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর হাতে এ বলে বাইয়াত করতে চান,
هلم نبايعك يا رسول الله قال: «إني لا أصافح النساء إنما قولي لمائة امرأة كقولي لامرأة واحدة»([1])
হে আল্লাহর রাসূল! আসুন আমরা আপনার হাতে মুসাফাহার মাধ্যমে বাইয়াত গ্রহণ করি, তখন তিনি বলেন, “আমি কোন নারীর সাথে করমর্দন করি না। একশ নারীর জন্য যে কথা একজন নারীর জন্যও আমার কথা একই।”[1]
হাদিসের অন্যান্য সনদে বর্ণিত তারা বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সাথে আপনি মুসাফাহা করবেন না? তখন তিনি তাদের বলেন, না আমি…।”
আয়েশা বিনতে সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা’ বলেন,
«ولا والله ما مست يده e يد امرأة قط في المبايعة ما يبايعهن إلا بقوله قد بايعتك على ذلك».
“রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বাইয়াত করার সময় কখনো কোন বেগানা নারীদের হাতকে স্পর্শ করেন নি। তিনি নারীদেরকে শুধুমাত্র কথার দ্বারা বাইয়াত করতেন। তিনি বলতেন, আমি তোমাদেরকে এ সব বিষয়ের উপর বাইয়াত করলাম”[2]।
আব্দুল্লাহ ইব্ন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা’ বলেন,
«كان لا يصافح النساء في البيعة».
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বাইয়াত করার সময় নারীদের সাতে মুসাফাহা করতেন না [3]।
রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ আরও বলেন,
«لأن يطعن في رأس رجل بمخيط من حديد خير من أن يمس امرأة لا تحل
“কোনো ব্যক্তির মাথায় লোহার করাত দিয়ে আঘাত করা, কোন নারীর হাত স্পর্শ করা যা তার জন্য হালাল নয়, তা হতে অধিক উত্তম”[4][5]
[1] বর্ননায় ইমাম মালেক স্বীয় মুয়াত্তায়, তিরমিযী, নাসায়ী,সনদ বিশুদ্ধ।
[2] বুখারী।
[3] বর্ণনায় আহমদ, আল্লামা সুয়ুতী ও হাইসামী হাদিসটিকে হাসান বলেন।
[4] আল্লামা মুনযিরি তারগীব ও তারহীবে উল্লেখ করে বলেন, হাদিসটি তাবরানী ও বাইহাকী বর্ণনা করেন। আর তাবরানীর বর্ণনাকারীগণ সবাই নির্ভরযোগ্য।
[5] লেখকের অপর গ্রন্থ ‘কাদ্বায়া তাহুম্মুল মার’আ, পৃ. ৫৩।
মন্তব্য করুন